কোচ হিসেবে জিদানের ক্যারিয়ার লম্বা না হলেও সাফল্যে পূর্ণ। তার কোচিংয়ে রিয়াল জেতে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।
দুই মেয়াদে মোট সাড়ে চার মৌসুম রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিদান। ২০২১ সালের জুনে সান্তিয়াগো বের্নাবেউ ছাড়ার পর যোগ দেননি কোনো ক্লাবে।
এই মুহূর্তে অবশ্য ফরাসি ফুটবলে অলোচনার কেন্দ্রে আছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী তারকা। নতুন মৌসুমে পিএসজির কোচ হিসেবে তার নাম রয়েছে আলোচনায়। এছাড়া ফ্রান্স জাতীয় দলের ডাগআউটে তাকে দেখা যেতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
চার দিন পরই ৫০ পূর্ণ করতে যাওয়া জিদান রোববার টেলেফুটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খেলোয়াড়ী জীবনের নানা স্মৃতিচারণ করেছেন। কথা বলেছেন কোচ হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
“কোচ হিসেবে কি আমি এখনও অবদান রাখতে পারি? হ্যাঁ, অনেক, অথবা আমি মনে করি কিছুটা। আমি (কোচিং) চালিয়ে যেতে চাই, কারণ এখনও কোচিংয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা রয়েছে, এটা আমার আবেগ।”
২০০৬ সালে বুট জোড়া তুলে রাখা জিদান ২০১২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলের কোচ হিসেবে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে কাজ করেছেন মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবেও।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেন রিয়ালের প্রধান কোচ হিসেবে। প্রথম দফায় ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ছিলেন ক্লাবটিতে। পরে ২০১৯ সালের মার্চে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।
এই সময়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও রিয়াল জেতে দুটি করে ক্লাব বিশ্বকাপ, লা লিগা, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা। দুইবার বিশ্বের সেরা কোচের পুরস্কারও জেতেন জিদান।