বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফিফার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকায় আসা কাহেম্বু বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নিজের নানা অভিজ্ঞতার কথা। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ও আসছে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ফেভারিট নিয়েও কথা বললেন এই ৫১ বছর বয়সী।
বুধবার বাংলাদেশে পা রাখার পর থেকে কাহেম্বুকে আমুদে চরিত্রের এক মানুষ হিসেবেই আবিস্কার করেছে সবাই। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে নির্দিষ্ট সংখ্যক সাধারণ দর্শকদের জন্য ট্রফির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
হোটেল লবিতে এ সময় কাহেম্বুকে খুঁজে নেন অনেকেই। বেশ খুশি মনেই সবার সেলফির আবদার মেটান তিনি। সংবাদ সম্মেলনেও তাকে বেশ প্রণোচ্ছ্বল মনে হচ্ছিল। প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই তিনি এদেশের মানুষের প্রশংসা করলেন।
“যতবারই আমি কোনো দেশে যাই, আমি নতুন কিছু খুঁজে পেতে পছন্দ করি। যখন আমি এখানে এলাম, আমি মাটি স্পর্শ করেছি এবং এটা খুবই গরম। দারুণ কিছু মুহূর্ত ভাগাভাগির জন্য আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।”
“সবার সাথে সময়টা খুব উপভোগ করেছি। ফুটবলের অভিজ্ঞতা নিতে পেরেছি। আপনাদের অনেকে কাছ থেকে বিশ্বকাপের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছে। এটা ছিল অসাধারণ ব্যাপার।”
কাহেম্বু ফ্রান্সের হয়ে খেলেন ৫৩ ম্যাচ। জাতীয় দলের হয়ে একটি গোল রয়েছে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ পর্যন্ত খেলেন রিয়াল মাদ্রিদে।
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ছাড়াও একটি করে ইউরো কাপ ও কনফেডারেশন্স কাপ জিতেছেন কাহেম্বু। রিয়ালের হয়ে জিতেছেন দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ও রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় তার জীবনের গর্বের উপলক্ষ হয়ে আছে বলে জানালেন।
“হ্যাঁ, বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়া ও জিততে পারার অভিজ্ঞতা খুব ভালো ছিল। এটা সব ফুটবলপ্রেমীদের জন্য। বিশ্বের প্রত্যেক শিশুই আসলে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায়।”
“আমরা কখনও ভাবিনি যে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হবে। যখন আমি ট্রফিটি ছুঁয়েছিলাম, আমি আমার পথের দিকে তাকাচ্ছিলাম। ছোটবেলায় কোথায় ছিলাম। যেটা টিভিতে দেখেছি, এখন সেটাই জিতেছি।”
কাহেম্বুর দেশ বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কোন দেশ এবার তাদের জন্য বড় হুমকি, এমন প্রশ্ন ছিল তার কাছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সম্ভাবনাই বা কতটুকু, এ নিয়েও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
তবে কাহেম্বু বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনার কথা উল্লেখ করে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে কোনো কথা মন্তব্য করতে চাননি। তবে ফেভারিট হিসেবে এই দুই দলের সঙ্গে জার্মানি, স্পেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের কথা উল্লেখ করেন।
কাহেম্বুর নিজের কাছে অবশ্য টপ ফেভারিট স্বাভাবিকভাবেই তার দেশ ফ্রান্স। আর হুমকি হিসেবে দেখছেন তার বলা ফেভারিটদেরই।