টোকিওর জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার প্রীতি ম্যাচে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ৭৭তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান গড়ে দেন নেইমার।
গত বৃহস্পতিবার আরেক প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলে ভাসিয়েছিল ব্রাজিল। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন নেইমার। আরও জালের দেখা পেয়েছিলেন রিশার্লিসন, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও গাব্রিয়েল জেসুস।
শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ব্রাজিল প্রথমার্ধের পুরোটা সময় জাপানের অর্ধে ভীতি ছড়ায়। ৪-৩-৩ ফরমেশনে সেরা একাদশ সাজোনো জাপান রক্ষণ সামলাতে থাকে চার জনেরও বেশি খেলোয়াড় নিয়ে। এ অর্ধে তাই ১৫টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখলেও গোলের দেখা পায়নি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
১৯তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে ব্রাজিল। বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার শট ফিস্ট করে ফেরান গন্দা। বিরতির আগ পর্যন্ত ৩৩ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক দারুণ সব সেভে আরও কয়েকবার হতাশ করেন ব্রাজিলকে।
২৭তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে নেইমারের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক। এর একটু আগে কাসেমিরোর হেড যায় বাইরে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রাফিনিয়ার পাস ধরে একটু দুরূহ কোণ থেকে কাছের পোস্টে নেওয়া নেইমারের আরেকটি শট আটকান গন্দা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে জাপান কিছুটা উপরে উঠে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু আলিসনের পরীক্ষা নেওয়ার মতো কিছুই করতে পারেনি তারা। ম্যাচজুড়ে কোনো শটই পোস্টে রাখতে পারেনি জাপান।
৫৩তম মিনিটে সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রস বক্সে পাওয়ার পর ব্যাক পাস দেন ফ্রেদ। নেইমারের প্লেসিং শট ওয়াতারু ইন্দোর মুখে লেগে বাইরে যায়।
৬৩তম মিনিটে দুটি পরিবর্তন আনেন তিতে। রাফিনিয়া ও ভিনিসিউসকে তুলে জেসুস ও গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিকে নামান। ব্রাজিলের আক্রমণে গতি আরও বাড়ে। গোলও মিলে যায় ৭৭তম মিনিটে।
নেইমারের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে পড়ে গোলরক্ষক আটকানোর পর গিলেরমো আরানার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে। ওই সময়ই বক্সে রিশার্লিসনকে বক্সে ইন্ডো ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার।
ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের গোল হলো ৭৪টি। জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় কিংবদন্তি পেলেকে ছুঁতে আর তিন গোল দরকার তার।
ম্যাচের স্কোরলাইন দেখে ম্যাচজুড়ে ব্রাজিলের দাপট বোঝার উপায় নেই। ৫৩ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ২১টি শট নেয় ব্রাজিল, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।