গত বছরের ১১ জুলাই ওয়েম্বলি সবুজ আঙিনায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় এবং ১৯৬৮ সালের পর প্রথমবার ইউরোর ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তারা।
ওই সাফল্যের হাত ধরেই বুধবার এক ম্যাচের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইতালি। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিনালিস্সিমা’।
এক মহাদেশের চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে আরেক মহাদেশের সেরার লড়াই। এমন ম্যাচের আগে উভয় পক্ষেই থাকবে শ্রেষ্টত্বের সীমানা বিস্তারের লক্ষ্য, সেখানে কিনা ইতালি শিবিরে পুরনো ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলার তাগিদ!
ইউরোয় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রেকর্ড ৩৭ ম্যাচ অজেয় ছিল তারা। কিন্তু এরপরই কী যেন হয়, আচমকা পথ হারিয়ে ফেলে তারা। ঠিক যেন চূড়া থেকে পতন।
একটা সময় পর্যন্ত সরাসরি কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথেও ভালোভাবে ছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে বাছাইয়ে শেষের কয়েকটি ম্যাচে খেই হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপে সুইজারল্যান্ডের পেছনে থেকে রানার্সআপ হয় তারা।
তারপরও টিকে ছিল সম্ভাবনা। কিন্তু গত মার্চের শেষ দিকে বিস্ময়করভাবে প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে পুঁচকে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষেও হেরে বসে ইতালি, শেষ হয়ে যায় তাদের সব আশা।
“তারা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। আর্জেন্টিনা টানা ৩১ ম্যাচে হারেনি আর এটা কাকতাল নয় (তারা সেরা বলেই পেরেছে)।”
“(তাদের হারাতে) আমাদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে…আমাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হবে এবং ভিত গড়তে হবে যা ইতালিকে আবারও শীর্ষে ফিরিয়ে আনবে।”
গত সোমবার টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি ইতালির প্রশংসায় বলেন, ওরা যদি বিশ্বকাপে উঠত তাহলে ফেভারিট হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন বোনুচ্চি।
“আমাদের সম্পর্কে মেসি যে দারুণ সব কথা বলেছে, তার জন্য তাকে ধন্যবাদ: আগামীকাল দুটি বিজয়ী জাতীয় দল মুখোমুখি হবে এবং আমরা দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে শিরোপাটা নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।”
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকা জয়ীর মধ্যে এমন ম্যাচের আয়োজন আগেও দুবার হয়েছে, ১৯৮৫ ও ১৯৯৩ সালের।
তৃতীয়বারের মতো হতে যাওয়া বিশেষ এই লড়াই দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ইতালির সাবেক অধিনায়ক জর্জো কিয়েল্লিনি। দীর্ঘদিনের সতীর্থের বিদায়টা রাঙাতেও জয়টা খুব করে চায় ইতালিয়ানদের।