কোর্তোয়ার আশা, প্রাপ্য সম্মান এবার পাবেন তিনি

এই তো গত মাসের কথা। যাদের হয়ে চারটি মৌসুম গোলপোস্ট সামলেছেন, সেই চেলসির আঙিনায় ফিরে থিবো কোর্তোয়াকে পেতে হয়েছিল দুয়ো। এবার সাবেক ক্লাবের সেসব সমর্থক আর সমালোচকদের এক হাত নিলেন তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর বেলজিয়ান গোলরক্ষক বললেন, আরও সম্মান প্রাপ্য তার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2022, 05:16 AM
Updated : 29 May 2022, 05:16 AM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে শনিবার প্যারিসে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৪তম শিরোপা জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ভিনিসিউস জুনিয়র।

তবে ম্যাচ জুড়ে অসাধারণ সব সেভ করে রিয়ালের জয়ের মূল নায়ক আসলে কোর্তোয়া। ম্যাচে মোট ৯টি সেভ করেন তিনি। ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সবচেয়ে বেশি সেভ করার রেকর্ড এটি।

আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারলেও রিয়ালের জার্সিতে প্রথম ফাইনাল খেলেই শিরোপা জিতলেন কোর্তোয়া। ম্যাচের আগের দিন বলা কথাটা তাই ম্যাচ শেষে আবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি।  

“আমি বলেছিলাম, রিয়াল মাদ্রিদ যখন ফাইনালে খেলে, তারাই জেতে। এবার ইতিহাস আমার পক্ষে।”

চেলসিতে কোর্তোয়া ছিলেন সাত বছর। এর মধ্যে তিন বছর ধারে খেলেন আতলেতিকো মাদ্রিদে। ২০১৮ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগে চেলসির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১২৮ ম্যাচের ৪৮টিতে জাল অক্ষত রাখেন তিনি। ইংলিশ দলটি হয়ে দুবার প্রিমিয়ার লিগ ও একবার করে জেতেন এফএ কাপ ও লিগ কাপ। রিয়ালের হয়ে দুটি লা লিগা জেতার পর এবার জিতলেন সবচেয়ে বড় শিরোপা- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তার অর্জনের ঝুলিতে আছে আরও তিনটি শিরোপা।

এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখেন তিনি। সেভ করেন মোট ৫৯টি। তার গোল বাঁচানোর শতকার হার ৮০.৫৬!

গত মাসে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে চেলসির বিপক্ষে খেলতে স্টামফোর্ড ব্রিজে ফেরেন তিনি। সেখানে তাকে পেতে হয় দুয়ো। তার মতে, যথেষ্ট সম্মান তিনি পাচ্ছেন না।  

“আমার ক্যারিয়ারের জন্য, আমার নামের সম্মান রাখার জন্য, আমার সকল কঠোর পরিশ্রমের জন্য আজ আমাকে ফাইনাল জিততে হতোই। কারণ, আমার মনে হয় না, আমি যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছি, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে। দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটানোর পরও আমাকে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছিল।”

“দলকে (রিয়াল মাদ্রিদ) নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। আমরা নিজেদের কাজটা করতে পেরেছি এবং যখন আমার সেখানে থাকার দরকার ছিল, আমি দলের জন্য ছিলাম।”

এবার নকআউট পর্বে দুর্দান্ত সব প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পিএসজি, চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে ফাইনালে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল। শেষ পর্যন্ত তারা ঘরে তুলল শিরোপা। কোর্তোয়ার কণ্ঠে বড় সব দলকে হারানোর তৃপ্তি।   

“আমরা বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্লাবকে হারিয়েছি। সিটি ও লিভারপুল এই মৌসুমে অবিশ্বাস্য ছিল। তারা প্রিমিয়ার লিগে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। লিভারপুল দুটি শিরোপা জিতেছে এবং তারা সত্যিই শক্তিশালী দল ছিল।”

"আজকে আমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি এবং গোল করেছি।”