চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রথম লেগে মঙ্গলবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আতলেতিকোর মুখোমুখি হবে সিটি।
ইউরোপ সেরার ট্রফি এখনও জেতা হয়নি সিটির। গত আসরে খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল তারা, কিন্তু চেলসির কাছে ১-০ গোলে হেরে অপেক্ষা দীর্ঘ হয় তাদের।
পোর্তোর সেই ফাইনালে হোল্ডিং মিডফিল্ডার ছাড়াই ছক কষেছিলেন গুয়ার্দিওলা। কিন্তু কাজ হয়নি। ২০১৯-২০ মৌসুমে লিওর বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে হেরে যাওয়া ম্যাচে পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তিন ডিফেন্ডার নিয়ে। এসব কৌশলের কারণে সেসময় তীর্যক প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল এই স্প্যানিশ কোচকে।
আতলেতিকোর বিপক্ষে ম্যাচের আগেও অতিরিক্ত ভাবনা, পরিকল্পনা নিয়ে সেই একই প্রশ্নের মুখোমুখি গুয়ার্দিওলা। হাসিমুখে তা মেনে নিয়ে রসিকতা করলেন তিনি।
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে আমি সবসময় বেশি চিন্তা করি, খুব বেশি ভাবি, অবশ্যই। এ কারণেই এ প্রতিযোগিতায় আমি ভালো সাফল্য পেয়েছি। অতিরিক্ত ভাবতে এবং বোকার মতো কৌশল সাজাতে পছন্দ করি আমি। আজ রাতে (আপনাদের প্রশ্নে) আমি অনুপ্রেরণা নিচ্ছি এবং আগামীকাল অবিশ্বাস্য কৌশলে দলকে খেলাব। ১২ জন নিয়ে খেলতে নামব আমরা।”
আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে খেলোয়াড়রা ফিরেছেন সিটির ডেরায়। তবে আক্রমণভাগের তিন ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দলটি ভুগছে। তাছাড়া গুয়ার্দিওলার মনে হচ্ছে, প্রথম লেগে কেবল নিজেদের ঘর আগলে রাখার মানসিকতা নিয়ে ম্যানচেস্টারে আসেনি আতলেতিকো। সুযোগ পেলে দিয়েগো সিমেওনের দলও হানা দিবে।
“আতলেতিকোর খেলা দেখে... সিমেওনে যেভাবে খেলায়, তা নিয়ে এক ধরণের ভ্রান্ত ধারণা আছে। লোকে যেমনটা ভাবে, আসলে তার চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক সে। তারা ঝুঁকি নিতে চায় না, কিন্তু যখন আমাদের অর্ধে বল থাকবে…তারা জানে নির্দিষ্ট ওই মুহূর্তে তাদের ঠিক কীভাবে খেলতে হবে।”
কোচ গুয়ার্দিওলার মতো রসিকতা অবশ্য করেননি বের্নার্দো সিলভা। সিটির এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার নকআউট পর্বে করা অতীতের ভুল শুধরে নেওয়ার দিকেই বেশি মনোযোগী।
“যে দলটাকে আমি আজ দেখেছি, তারা ওই মুহূর্তগুলোর জন্য ভালোভাবে প্রস্তত। অতীতেও আমরা ভালো দল ছিলাম, তবে পাঁচ বছর আগের চেয়ে বর্তমান দলটা আরও বেশি প্রস্তুত।”
“নিশ্চিতভাবে উন্নতি হয়েছে এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই সেটা হয়েছে। অতীতের হতাশা আছে….কিন্তু আমরা এখন পরস্পরকে আরও বেশি জানি। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের কি করণীয়, তার সবটাই জানি। যখন গোল হজম করব, তখন কি করতে হবে, সেটাও জানি আমরা।”