২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে তুলনামূলক তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়েছিল সাউথগেটের ইংল্যান্ড। দারুণ খেলে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল দলটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাঝে অনেকবার তিনি বলেছেন, তার মূল লক্ষ্য কাতার বিশ্বকাপ। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে-পরেও তিনি বলেন, কাতার বিশ্বকাপের জন্যই তিনি দলকে প্রস্তুত করছেন।
তার সেই চাওয়া পূরণের বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আগামী ২১ নভেম্বর, শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর।
সাউথগেট যে তার লক্ষ্যে ভালোভাবে এগিয়ে চলেছেন, তা বলাই যায়। গত বছর তার বড় প্রমাণও মিলেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে গতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৫ বছরের আন্তর্জাতিক শিরোপা খরা কাটানোর দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় পুড়তে হয় তাদের।
পরপর দুটি বড় প্রতিযোগিতায় শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে খালি হাতে ফেরার অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সাউথগেট। গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তিনি বলেন, বৈশ্বিক আসরটিকে সামনে রেখে আগামী কয়েক মাসে দলকে নিখুঁত করে তোলার জন্য কাজ করবেন তিনি।
“এই সপ্তাহে দলকে বলেছি, আমরা যদি সেমি-ফাইনালে যেতে পারি, আমরা ফাইনালেও যেতে পারি, এবং (ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে) আমরা সেটা করেছিও। আর আমরা যদি ফাইনালে যেতে পারি, আমরা শিরোপাও জিততে পারি।”
“বিশ্বকাপ জেতা অত্যন্ত কঠিন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে আমাদের যতটা সম্ভব নিখুঁতের কাছাকাছি থাকতে হবে। এটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ, সেটা শুধুমাত্র কাতারে যাওয়ার সময় নয়, কারণ তার আগেও আমাদের সঠিক অবস্থায় থাকতে হবে।”
দোহায় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১০টায় শুরু হবে আসরের ড্র।
ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছে একবার, ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেকোনো মেজর টুর্নামেন্টের আগে থেকে ইংলিশ ভক্তদের মাঝে তুমুল উন্মাদনায় শুরু হয় ‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগান। একটি শিরোপা জেতার জন্য ব্যাকুল সমর্থকরা এবারও খুব আশাবাদী তাদের দলকে নিয়ে।
সাউথগেট মনে করেন, কাজটা তাদের জন্য মোটেও সহজ হতে যাচ্ছে না। তবে তার বিশ্বাস, প্রতিপক্ষের সমীহ আদায় করতে সমর্থ হবে তার দল।
“(দল হিসেবে) আমরা অবশ্যই সম্মান পাব এবং আমি মনে করি, আমরা এমন একটি দল হবো যাদের বিপক্ষে অন্য দলগুলো খেলতে চাইবে না।”
“তবে এর খারাপ দিকও আছে, কারণ কয়েকটি দল আমাদের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেবে।”