৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপে কানাডা

৩০ হাজার দর্শকে ঠাসা টরন্টোর বিএমও স্টেডিয়াম। স্লোগান হচ্ছে, চলছে গান। উড়ছে পতাকা। ম্যাচের আগে থেকেই যেন উৎসবের আবহ। সেই উপলক্ষ পূর্ণতা পেল মাঠের ফুটবলেও। জ্যামাইকাকে উড়িয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করল কানাডা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2022, 06:26 AM
Updated : 28 March 2022, 08:07 AM

সেই ১৯৮৬ আসরে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতার অর্জন করেছিল কানাডা। সেবার তিন ম্যাচ হেরে ও কোনো গোল না করে বিদায় নেওয়ার পর আর বিশ্ব আসরে পা রাখা হয়নি তাদের। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবার তারা বিশ্বকাপের যাত্রী।

জ্যামাইকার বিপক্ষে এই ম্যাচে স্রেফ ড্র হলেই চলত কানাডার। কিন্তু ঘরের দর্শকের সামনে উজ্জীবিত দল আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৪-০ গোলে। এরপর গোটা দল আর স্টেডিয়াম মেতে ওঠে উৎসবে।

কনকাকাফ অঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত শক্তি ও বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলকে পেছনে ফেলে এক ম্যাচ বাকি রেখেই এবার সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলল কানাডা। ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট তাদের।

বিশ্বকাপের পথে আছে অবশ্য মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রও। এ দিন পানামাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র, হন্ডুরাসকে ১-০ গোলে হারায় মেক্সিকো।

১৩ ম্যাচে এই দুই দলেরই পয়েন্ট ২৫। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে যুক্তরাষ্ট্র।

এই অঞ্চল থেকে তিনটি দল সরাসরি খেলতে পারে বিশ্বকাপে। চতুর্থ দলকে প্লে-অফ খেলতে হয় ওশেনিয়া অঞ্চলের একটি দলের সঙ্গে।

বাছাইয়ে এই অঞ্চলের সব দলেরই বাকি একটি করে ম্যাচ। শেষ ম্যাচে ড্র করলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলবে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। শেষ লড়াইয়ে মেক্সিকো পাচ্ছে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ, এল সালভাদর। যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা কোস্টা রিকার সঙ্গে, তাদের মাঠে।

এই কোস্টা রিকার মাঠেই গত বৃস্পতিবার হেরে গিয়ে কানাডাকে অপেক্ষায় থাকতে হয় বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার জন্য। তবে এবার জ্যামাইকাকে হারানোর পর কানাডার কোচ জন হার্ডম্যান বললেন, আগের ম্যাচে না হয়ে ঘরের মাঠে দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করাতেই তিনি বেশি খুশি।

“আমার এত ভালো লাগছে যে কোস্টা রিকায় আমরা জিতিনি! এটা এভাবেই হওয়ার কথা ছিল (ঘরের মাঠে উৎসবের আবহে)… আমি জানি, কেন ফুটবল ইশ্বর সেদিন আমাদের স্কোর করতে দেননি, আজকে রাতের জন্যই ছিল অপেক্ষা। আমরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি, আমরা এখন স্বীকৃত ফুটবল শক্তি।”

“আমার ধারণা, এই দেশ আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি, কারণ বিশ্বাস রাখার মতো কিছু আমরা তাদের দিতে পারিনি। এখন তারা বিশ্বাস করবে। এখন সময়, সবাই মিলে ফুটবলের পেছনে একত্র হওয়ার, কারণ আমরা পরাশক্তি হতে পারি।”