সুইজারল্যান্ডের নিয়নে শুক্রবার কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
গত আসরে রিয়ালকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল চেলসি। পরে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল টমাস টুখেলের দল।
এবারের শেষ ষোলোয় সবচেয়ে বড় যে দুটি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের জন্ম হয়েছে তার একটি রিয়ালের।
ইন্টার মিলানকে পেছনে ফেলে গ্রুপ ‘ডি’ এর সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছিল রিয়াল। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে হেরে বসে ১-০ গোলে। ঘরের মাঠেও পিছিয়ে পড়ে শুরুতে।
এরপর ম্যাচের শেষ ৩০ মিনিটে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রাখে রিয়াল। ১৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে তাদের জয়ের নায়ক করিম বেনজেমা।
চেলসি গ্রুপ পর্ব পার হয় ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে। শেষ ষোলোয় তারা দুই লেগেই হারায় ফরাসি ক্লাব লিলকে।
চেলসি-রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যানচেস্টার সিটি-আতলেতিকো মাদ্রিদ
ভিয়ারিয়াল-বায়ার্ন মিউনিখ
বেনফিকা-লিভারপুল
টুখেলের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া দলটির সামনে এবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। রিয়ালের জন্য যা প্রতিশোধের।
গতবারের রানার্সআপ ম্যানচেস্টার সিটি এবারের প্রাথমিক পর্বে দুটি ম্যাচে হারলেও গ্রুপ সেরা হয়েই পরের ধাপে ওঠে। শেষ ষোলোয় প্রথম লেগেই স্পোর্তিংকে উড়িয়ে পরের ধাপে ওঠার কাজ সেরে ফেলে তারা। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে গোলশূন্য ড্র করলেও তাই কোনোরকম ভাবনায় পড়তে হয়নি তাদের।
শেষ আটে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের প্রতিপক্ষ আতলেতিকো মাদ্রিদের গ্রুপ পর্ব কাটে ভীষণ কঠিন। ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয়ী স্প্যানিশ দলটি কোনোমতে ওঠে নকআউট পর্বে। আর শেষ ষোলোয় তারা দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
শেষ ষোলোয় অসাধারণ জয়ের আরেক গল্প ভিয়ারিয়ালের। ইউভেন্তুসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তারা করেছিল ১-১ ড্র। ফিরতি লেগ গোলশূন্য ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল; কিন্তু শেষ দিকে স্প্যানিশ ক্লাবটির ১৩ মিনিটের এক ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় তুরিনের দলটি।
ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে উল্লাসে মাতে ভিয়ারিয়াল।
ম্যানচেস্টার সিটি-আতলেতিকো মাদ্রিদ বনাম চেলসি-রিয়াল মাদ্রিদ
ভিয়ারিয়াল-বায়ার্ন মিউনিখ বনাম বেনফিকা-লিভারপুল
চতুর্থ কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হবে বেনফিকা ও লিভারপুল।
ছয়বারের ইউরোপ সেরা লিভারপুলও গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচে জেতে। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের মাঠেও ২-০ গোলে জিতেছিল ২০১৮-১৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। পরে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ওঠে পরের ধাপে।
আর বেনফিকা দুই লেগ মিলিয়ে আয়াক্সকে ৩-২ গোলে হারিয়ে উঠেছে কোয়ার্টার-ফাইনালে।
সেমি-ফাইনালের পথরেখাও তৈরি হয়ে গেছে।
ম্যানচেস্টার সিটি ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যে বিজয়ী শেষ চারে মুখোমুখি হবে চেলসি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে লড়াইয়ের বিজয়ীর সঙ্গে।
আর ভিয়ারিয়াল-বায়ার্ন ম্যাচের বিজয়ী আরেক সেমিফাইনালে লড়বে বেনফিকা-লিভারপুল লড়াইয়ের জয়ীর সঙ্গে।
আগামী ২৮ মে প্যারিসে মুখোমুখি হবে দুই ফাইনালিস্ট।