ভারতের জামশেদপুরে টাটা একাডেমি মাঠে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ৭-০ গোলে হেরে আসরে যাত্রা শুরু করেছে নেপালের মেয়েরা।
ভারতে পৌঁছানোর পর দলে হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস। দুই কর্মকর্তা ও এক ফুটবলারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরদিনই ওই খেলোয়াড় সেরে ওঠায় অনুশীলন করতে পারে দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগও পায়।
এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি বাংলাদেশ শুরু করেছিল গত জানুয়ারিতে। প্রস্তুতি নিয়ে তাই সন্তুষ্টি আছে ছোটনের। নেপাল ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে জানালেন কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তার দল।
“আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খুব কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভারতে আসার আগে তিনটি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি। ভারত শক্তিশালী দল এবং ঘরের মাঠ থাকায় তাদের অনেক সুবিধা আছে, যেমন সমর্থক, পরিচিত আবহাওয়া ও পরিবেশ, কিন্তু বাংলাদেশ তাদের সেরাটা দেবে।”
“আমি মনে করি টুর্নামেন্টটি খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে; কারণ, তিনটি দলই খুব শক্তিশালী। ভারত ও নেপাল সবসময়ই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমাদের মেয়েরা গত কয়েকটি সাফ টুর্নামেন্টে ভালো ফলাফল করেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো যে আমরা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলছি। কারণ, এটি আমাদের উভয় দলকে ভালোভাবে বুঝবার এবং আমাদের খেলার কৌশল প্রস্তুত করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিবে। আমাদের দল প্রস্তুত।"
এবারের প্রতিযোগিতায় মাত্র তিন দল অংশ নিচ্ছে। ১৯ মার্চ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফিরতি লেগে ২৩ মার্চ নেপাল ও ২৫ মার্চ ভারতের মুখোমুখি হবে ছোটনের দল। রাউন্ড রবিন লিগে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দল জিতবে শিরোপা।
গত বছর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সীদের নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।