মেস্তায়া স্টেডিয়ামে রোববার লা লিগার ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। তাদের আরেক গোলদাতা ফ্রেংকি ডি ইয়ং।
মৌসুমের শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনা এদিনের আগে লিগে যে কয়েকটি ম্যাচে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেছে, তার একটি এই ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে গত অক্টোবরে। আসরের প্রথম দেখার সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছিল কাতালান ক্লাবটি।
মেসি-গ্রিজমানদের হারিয়ে শক্তি হারানো দলটির সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনা হয়ে উঠেছে যথেষ্ট আক্রমণ করেও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা। তবে এদিনের বার্সেলোনা ছিল ভিন্ন; প্রথমার্ধে তারা তিন শট নিয়ে সবকটিই রাখে লক্ষ্যে এবং প্রতিটিই গোল। দ্বিতীয় অর্ধেও তারা শট নেয় তিনটি এবং এবারও সবই ছিল লক্ষ্যে।
নতুন পরিকল্পনায় ত্রাওরেকে বেঞ্চে বসানোসহ মোট পাঁচটি পরিবর্তন এনে এই ম্যাচে দল সাজান শাভি। শুরু থেকে তা কার্যকর হতেও দেখা যায়। নিজেদের চিরচেনা কৌশলে বল দখলে রেখে খেলতে থাকে তারা। ২৩তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগে কাঙ্ক্ষিত গোলও পেয়ে যায় দলটি।
বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার উঁচু করে বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন অবামেয়াং। জানুয়ারিতে আর্সেনাল ছেড়ে কাম্প নউয়ে আসা গ্যাবনের স্ট্রাইকারের এটি বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথম গোল।
তিন মিনিট পরই মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের ভুলে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান হোসে লুইস গায়া। তবে ভালেন্সিয়ার এই ডিফেন্ডার অফসাইডে থাকায় বেঁচে যায় সফরকারীরা।
৩২তম মিনিটে দারুণ পাসিং ফুটবলে গড়া আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি ইয়ং। ছয গজ বক্সের ডান দিক থেকে উসমান দেম্বেলের গোলমুখে বাড়ানো বল টোকায় জালে পাঠান ডাচ মিডফিল্ডার।
ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন অবামেয়াং। ডান দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণে সের্জিনো দেস্তের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে দেম্বেলে বল বাড়ান ডি-বক্সে গাভিকে। তরুণ এই মিডফিল্ডারের গোলমুখে বাড়ানো বল অনায়াসে টোকায় বাকি কাজ সারেন অবামেয়াং।
অবশেষে ৫২তম মিনিটে গোল পায় ভালেন্সিয়া। ব্রায়ানের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সলের।
তাদের সেই স্বস্তি অবশ্য খানিক বাদেই উবে যায়। ৬৩তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন দুই মিনিট আগে ডি ইয়ংয়ে বদলি নামা পেদ্রি। বল সামনে অবামেয়াংয়ের পিঠে লেগে খানিকটা দিক বদলে খুঁজে নেয় ঠিকানা।
গোলটি প্রথমে পেদ্রির নামে দেখানো হলেও পরে তা অবামেয়াংয়ের খাতায় যোগ হয়। হ্যাটট্রিক পূরণ হয় ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।
আবার তিন গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া ভালেন্সিয়া বাকি সময়ে আক্রমণ করে অনেক। সুযোগও তৈরি করে; কিন্তু জালের দেখা আর পায়নি।
দারুণ এই জয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষ চারে ফিরল বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ১১ জয় ও ৯ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট হলো ৪২। সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে এক ম্যাচ বেশি খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ।
আতলেতিকোর সমান ২৫ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া। ২৪ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রিয়াল বেতিস।