সাম্প্রতিক সময়ে ইউনাইটেডের প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাদের গোলের সুযোগ নষ্ট করার চিত্র ভীষণ হতাশাজনক। এর মাশুলও দিতে হয়েছে পয়েন্ট হারিয়ে। মিডলসবরোর বিপক্ষে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টাইব্রেকারে হেরে বিদায়ের পর সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে বার্নলির বিপক্ষে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলেও জিততে পারেনি রাংনিকের দল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে গোলের দেখা পাননি রোনালদো। তাছাড়া ক্লাবে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত নয়। আসছে গ্রীষ্মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে স্ট্রাইকার কাভানির। বান্ধবীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পেলেও এখনও মাঠের বাইরেই আছেন ম্যাসন গ্রিনউড।
সব মিলিয়ে আক্রমণভাগ সাজাতে ভুগতে হচ্ছে রাংনিককে। প্রিমিয়ার লিগে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে রাংনিক বলেন, আক্রমণে তাদের অবশ্যই শক্তি বাড়াতে হবে।
“(ইউনাইটেডের নতুন স্ট্রাইকার দরকার কি-না) অবশ্যই লাগবে। এদিনসনের (কাভানি) চুক্তি গ্রীষ্মে শেষ হতে যাচ্ছে এবং ক্লাবের সম্ভাব্য সেরা সেন্টার-ফরোয়ার্ড প্রয়োজন। আমি মনে করি, এ বিষয়ে সবাই সচেতন।”
কেন নতুন স্ট্রাইকারের জন্য উন্মুখ ইউনাইটেড কোচ, এর পরিষ্কার একটা চিত্র ফুটে ওঠেছে পরিসংখ্যানে। প্রিমিয়ার লিগে ২৩ ম্যাচে তারা গোল করেছে কেবল ৩৭টি, বিপরীতে হজম করেছে ৩১। দলটির সর্বোচ্চ ৮ গোল রোনালদোর, আসরের গোলদাতাদের তালিকায় আরও পাঁচ জনের সঙ্গে তিনি আছেন পঞ্চম স্থানে।
ইউনাইটেডের যথেষ্ট গোল পাওয়ার জন্য নতুন মুখের বিকল্প দেখছেন না রাংনিক। তিনি এই কথা বলার আগে থেকেই অবশ্য কয়েকজন সম্ভাবনাময় ফরোয়ার্ডের নাম শোনা গেছে। বিভিন্ন সময়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ডকে দলে পেতে ইউনাইটেড আগ্রহী বলে খবর এসেছে। কিছুদিন আগে নরওয়ের এই তরুণও আসছে গ্রীষ্মে ঠিকানা বদলের আভাস দিয়েছেন।
রাংনিকের সঙ্গে হলান্ডের পরিচয় রয়েছে আগে থেকেই। ২০১৯ সালে ওই সময়ের টিনএজার হলান্ডের অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালসবুর্কে যোগ দেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই জার্মান কোচের।
রাংনিক ইউনাইটেডের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। গণমাধ্যমের খবর, তার জায়গা নেওয়ার দৌড়ে আছেন পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কোচ হলে চেষ্টা করবেন টটেনহ্যাম হটস্পার ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনকে দলে ভেড়াতে। কারণ টটেনহ্যামে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজন।
বিকল্প আছে আরও; ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্তিনেস ও রিয়াল সোসিয়েদাদের আলেক্সান্দার ইসাক, গুঞ্জন রয়েছে সুইডিশ এই ফরোয়ার্ডকে দলে পেতে চেষ্টা করছে আর্সেনালও। রাংনিকের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বায়ার লেভারকুজেন ফরোয়ার্ড পাত্রিক শিকও।
২০২১-২২ মৌসুম শেষে ইউনাইটেড নতুন কোচ নিয়োগের পাশাপাশি একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দলে টানার দিকেও মনোযোগ দেবে। তবে রাংনিক মনে করেন, আক্রমণের শক্তি বাড়ানোর দিকটিই সবার আগে গুরুত্ব সহকারে ভাবা উচিত।