‘ভুল শুধরে’ ছয় ভেন্যুতে লিগ ফেরাল বাফুফে

প্রিমিয়ার লিগে ভেন্যু নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত বদল চলছেই! সাত থেকে ছয়, এরপর ছয় থেকে চার, তারপর চার থেকে তিন হয়ে শেষ পর্যন্ত দুটিতে ঠেকেছিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদার লিগ কমিটি এবার ‘ভুল শুধরে’ দুই থেকে ছয় মাঠে লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2022, 01:27 PM
Updated : 11 Feb 2022, 01:28 PM

বাফুফে ভবনে শুক্রবার পেশাদার লিগ কমিটির সভা শেষে ছয় ভেন্যুতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। তৃতীয় রাউন্ডের পর টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে খেলা হবে না বলে জানান কমিটির সভাপতি সালাম মুর্শেদী।

“আগামীকাল (শনিবার) থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ দুটো মাঠে (মুন্সিগঞ্জ ও টঙ্গী) খেলা চলবে। পূর্বনির্ধারিত যে মাঠগুলো আমরা ঘোষণা করেছিলাম, সেগুলো ক্লাব প্রতিনিধিদের সকলের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত করেছি। সিলেট, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, কুমিল্লা ও বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা-এ মাঠগুলোয় চতুর্থ রাউন্ড শুরু হবে। প্রতিটি ক্লাবের দুটি করে হোম ভেন্যু থাকবে।”

“বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হোম ভেন্যু হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা। শেখ জামাল ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের মুন্সিগঞ্জ, আবাহনী ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির সিলেট, মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীর কুমিল্লা, পুলিশ এফসি ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের রাজশাহী এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারার হোম ভেন্যু হবে গোপালগঞ্জ।”

বাংলাদেশের প্রথম দল হিসাবে কিংসের নিজেদের মাঠে খেলার ইতিহাস গড়ার কথা ছিল এবার। কিন্তু লিগ কমিটির আগের সিদ্ধান্তে ভেন্যুর তালিকা থেকে কাটা পড়ে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা। বাফুফের নতুন সিদ্ধান্তে কিংস সুযোগ পাচ্ছে নিজেদের আঙিনায় খেলার। এর আগে অবশ্য জল ঘোলা হয়েছে অনেক। গুঞ্জন আছে ফিফার কাছে এ নিয়ে নালিশও করেছে দলটি। সালাম জানালেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি।

“আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি তারা ফিফার কাছে গেছে, কিন্তু বাফুফে ফিফার ‘বেবি’, আমরা তো কোনো অনুলিপি পাইনি। যাই হয়েছে, কোনো ভুল বোঝাবুঝি তো ছিলই। যদি মনে করেন, ভুল ছিল, তাহলে সেটা আমরা ঠিক করে নিচ্ছি।”

টঙ্গীতে লিগ হওয়ার কারণে আর্চারির ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ বলেছিলেন পুরো বিষয়টিকে ‘বাফুফের বাজে রসিকতা’ বলে মন্তব্য করেন। এরপর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাকে ধুয়ে দেন ‘মাঠটি জবরদখল করা হয়েছে’ কড়া মন্তব্য করে।

প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের ইস্যুতে সালাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সমঝোতার মাধ্যমে আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে লিগের খেলা হয়েছে বলেও দাবি করেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

“(টঙ্গীর মাঠ) বাদ, কিন্তু এভাবে শব্দটা উচ্চারণ করব না। শুরুতে এ মাঠ কিন্তু আমরা বিবেচনায় রাখিনি, এটা অপশনাল ভেন্যু ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে যখন এখানে ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছি, আমি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সমঝোতা হয়েছিল।”

চতুর্থ রাউন্ডের সূচি এখনও দেয়নি বাফুফে। মাঠগুলো পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সালাম।

“মাঠগুলোতে ইতোমধ্যে নিজেদের লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে আপনাদের সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। তৃতীয় রাউন্ডের খেলা দুই ভেন্যুতে (টঙ্গী ও মুন্সিগঞ্জে) হবে। (পরবর্তীতে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি) এটাও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতি, কোভিডের কারণে আমরা দুই ভেন্যুতে গিয়েছিলাম। এ মুহূর্তে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, সংক্রমণ কমে এসেছে। যাই হোক, চতুর্থ রাউন্ড থেকে এই ছয়টি ভেন্যুতে খেলা হবে।”