ব্রেন্টফোর্ডে ‘স্বাভাবিক জীবনের’ খোঁজে এরিকসেন

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থমকে যেতে বসেছিল ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের ফুটবল ক্যারিয়ার। শঙ্কার সেই মেঘ আপাত কেটে গেছে। ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দিয়ে তিনি দেখা পেয়েছেন আলোর রেখার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটিতে এখন তার সামনে নতুন করে ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফেরার সুযোগ বলে বিশ্বাস ডেনমার্কের এই মিডফিল্ডারের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2022, 11:13 AM
Updated : 8 Feb 2022, 11:13 AM

গত সাত মাসের ঘটনাবহুল জীবন ও ক্যারিয়ারে অনেক বাধা টপকে জানুয়ারির দলবদলের শেষ দিন ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে মৌসুমের বাকি অংশের জন্য ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দেন এরিকসেন। এখন দিন গুনছেন মাঠে নামার।

গত জুনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোপেনহেগেনে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। মাঠেই তাকে দেওয়া হয় সিপিআর। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

এরপর এরিকসেনের শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়। এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পেসমেকারের মতো যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে।

পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে টুকটাক অনুশীলন শুরু করেন এরিকসেন। গত অগাস্টে ক্লাব ইন্টারেও ফেরেন তিনি। কিন্তু ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শরীরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকায় ইতালিতে খেলতে পারবেন না তিনি। পরে গত ডিসেম্বরে তাকে ছেড়ে দেয় ইন্টার।

ব্রেন্টফোর্ডের ওয়েবসাইটে সোমবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ফুটবল থেকে দূরে থাকার কঠিন সময়টি নিয়ে কথা বলেন এরিকসেন। নতুন ঠিকানায় মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি।

“বড় চ্যালেঞ্জটি ছিল মূলত যা ঘটেছে তা কাটিয়ে ওঠা। আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছি, কিন্তু আমার জন্য আসলে স্বাভাবিক ছিল ইতালিতে খেলায় ফেরা। যদিও সেখানে খেলার অনুমতি আমাকে দেওয়া হয়নি।”

“তাই আমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপারটাই পাল্টাতে হয়েছে। নতুনভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগটা পেয়েছি ব্রেন্টফোর্ডে।”

কোপেনহেগেনের সেই দুর্ঘটনার পর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলা হয়নি এরিকসেনের। তবে সুস্থ হওয়ার পর সাবেক ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডামের হয়ে ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করেছিলেন তিনি। এখন কেমন বোধ করছেন, তাও জানিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।

“আমি খুব ভালো বোধ করছি, অনেক দৌড়াচ্ছি। তাই কন্ডিশন ও শক্তির দিক থেকে আমি খুব ভালো জায়গায় আছি। স্বরূপে ফিরতে এবং গতি ফিরে পেতে এখন কেবল ফুটবল স্পর্শ করাটাই দরকার।”

“যদি সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর, শরীরে একটা আইসিডি নিয়েও আবার খেলা সম্ভব-এটা করে দেখানোর জন্য আমি রোমাঞ্চিত হয়ে আছি। এই বিষয়টা নিয়ে আমি খুশি।”

লিগে ২৩ ম্যাচে ৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে থাকা ব্রেন্টফোর্ড আগামী বুধবার খেলবে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।