দলের সেরাটা বের করে আনতে স্কোয়াডের অন্যান্য অভিজ্ঞ সদস্যদেরও পর্তুগিজ তারকার মতো এভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন রাংনিক।
চলতি মৌসুমের শুরুটা দারুণ হয়েছিল ইউনাইটেডের। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পাঁচ রাউন্ডের চারটিতে জিতেছিল ও একটিতে ড্র করেছিল তারা। এরপরই অবশ্য পথ হারায় দলটি। টানা বাজে পারফরম্যান্সে গত নভেম্বরে ছাঁটাই হন তখনকার কোচ উলে গুনার সুলশার।
তার জায়গায় দায়িত্ব নেওয়া রাংনিকের হাত ধরে সাত ম্যাচের চারটিতে জিতেছে ইউনাইটেড। তবে লিগ টেবিলে বেশ পেছনেই পড়ে আছে তারা; ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাত নম্বরে। শীর্ষে থাকা নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে পিছিয়ে ২২ পয়েন্টে।
গত বৃহস্পতিবার স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ বা সপ্তম, এমনকি পঞ্চম হতেও ইউনাইটেডে আসেননি তিনি। চান শিরোপার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে।
লিগে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে শনিবার মাঠে নামবে ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে রাংনিক বলেন, দলের লক্ষ্য নিয়ে রোনালদোর সরাসরি কথা বলাটা ভালো লেগেছে তার। তার চাওয়া, দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রাও একই মানসিকতা দেখাবে।
“আমাদের অনেক উঁচু মানের, প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। উদাহরণস্বরূপ, ক্রিস্তিয়ানো বা তার মতো অন্য কোনো খেলোয়াড় মাঠে বা ড্রেসিংরুমে সরাসরি খেলোয়াড়দের কিছু বললে বিষয়টি বেশ হয়।”
“আমি নিজে কোচ হিসেবে এটি করব-এবং আমার কোচিং স্টাফ ম্যাচের আগে ও পরের ভিডিও বার্তায়ও পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করবে- তবে আমরা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে উন্নতি তখনই করতে পারব যখন দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে।”
রাংনিকের চাওয়া, শুধু রোনালদোই নন, তরুণ খেলোয়াড়দের মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা পরামর্শ দিয়ে উজ্জীবিত রাখতে ভূমিকা রাখবেন দলের অন্যান্য অভিজ্ঞ সদস্য।
“কেবল ক্রিস্তিয়ানো নয়, আমাদের এদিনসন (কাভানি) আছে, আমাদের হ্যারি (ম্যাগুইয়ার) আছে, আরও বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া, ভিক্তর লিনদেলোভ, ব্রুনো (ফের্নান্দেস) আছে।”
“আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ ও বয়স্ক খেলোয়াড় রয়েছে যারা শুধু অনুশীলন, মাঠে ও ম্যাচেই নয়, ড্রেসিংরুমের কথোপকথনেও রোল মডেল হতে পারে। এমনকি যখন তারা অ্যাওয়ে ম্যাচ বা হোম ম্যাচের জন্য হোটেলে একসঙ্গে থাকে তখনও। এমনটা হতেই হবে।”