অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার রাতে লিগ কাপের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। ২৪তম মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গ্রানিত জাকা।
২০১৫ সালে ইয়ুর্গেন ক্লপ লিভারপুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত দলটি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে যেকোনো প্রতিপক্ষের হিসেবে আর্সেনালের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৪৩টি গোল করেছিল। সেই তারাই এবার ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৭টি শট নিয়ে মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। লক্ষ্যে থাকা একমাত্র প্রচেষ্টাটিও একেবারে শেষ দিকে। আর ঘর সামলাতে ব্যস্ত আর্সেনালের তিন শটের একটি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচে শুরুতেই অবশ্য গোল পেতে পারত লিভারপুল। অনেকখানি এগিয়ে থাকা আর্সেনাল গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেল সতীর্থের ব্যাকপাস ধরে শট নেন, বল সামনে ছুটে আসা প্রতিপক্ষের জর্ডান হেন্ডারসনের গায়ে লেগে গোলের দিকে চলে যায়। তবে সফরকারীদের ভাগ্য ভালো, বল লক্ষ্যে ছিল না।
২০১৬ সালের মে মাসে আর্সেনালে যোগ দেওয়ার পর থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে পাঁচবার লাল কার্ড দেখলেন সুইস মিডফিল্ডার জাকা। এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়দের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
বিরতির আগ পর্যন্ত একইভাবে আক্রমণ করে যায় লিভারপুল। গোলের উদ্দেশ্যে চারটি শট নিলেও লক্ষ্যে একটিও রাখতে পারেনি তারা। প্রতি-আক্রমণে তেমন কিছু করতে পারেনি আর্সেনালও।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে এগোতে থাকে ম্যাচ। অধিকাংশ সময় বল আর্সেনালের সীমানাতেই ছিল; কিন্তু আক্রমণের শেষে গিয়ে বারবার তালগোল পাকাচ্ছিল রবের্তো ফিরমিনো-জটারা। রক্ষণ জমাট রাখায় সফরকারীরাও ছিল দৃঢ়।
খেলার ধারার বিপরীতে ৭১তম মিনিটে গিয়ে ম্যাচে লক্ষ্যে প্রথম শটটি রাখতে পারে আর্সেনাল। প্রতি-আক্রমণে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে যথেষ্ট জোরে অবশ্য শট নিতে পারেননি বুকায়ো সাকা, রিফ্লেক্সে রুখে দেন আলিসন।
এমন সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হতে দেখে ডাগআউটে মাথায় হাত দিয়ে বসেন কোচ ক্লপ। যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তার। পুরো ম্যাচেই দলটির আক্রমণভাগ ছিল এমন ছন্নছাড়া।
সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ মূলত হওয়ার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার, আর্সেনালের মাঠে। কিন্তু লিভারপুল শিবিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়। ফলে অ্যানফিল্ডের এই লড়াইটি বিবেচিত হচ্ছে প্রথম লেগ হিসেবে।
পাল্টে যাওয়া সূচিতে দ্বিতীয় লেগ হবে আগামী বৃহস্পতিবার আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়ামে।