কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার চতুর্থ কোয়ার্টার-ফাইনালে ৬-০ গোলে জিতেছে আবাহনী। সেমি-ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের রানার্সআপ সাইফ স্পোর্টিং।
প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর জয়ে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তো ও নাবীব নেওয়াজ জীবন। একটি করে গোল রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দি সিলভা ও দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার।
শুরু থেকে শেখ জামালকে চাপে রাখে আবাহনী। ২০তম মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিকে মিলাদ শেখ সোলায়মানি লাফিয়েও হেড নিতে পারেননি। দুই মিনিট পরই কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দোরিয়েলতন বুটের তলার টোকায় দলকে এগিয়ে নেন।
৩২তম মিনিটে বক্সের ঠিক ভেতরেই রাকিব হোসেনকে ফাউল করেন শাকিল আহমেদ। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার দি সিলভার স্পট কিক আটকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইম। বুলেট গতির শট ঠাই দাঁড়িয়ে দেখেন তিনি।
৪৪তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত আবাহনী। কলিনদ্রেসের ক্রসে বক্সে বল পেয়ে রাকিবের নেওয়া শট ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান।
২০১৫ সালে সবশেষ এই শিরোপার স্বাদ পাওয়া শেখ জামাল দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল বড্ড মলিন। ৫০তম মিনিটে রাহবার ওয়াহেদ খানের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। ম্যাচে দলটির বলার মতো আক্রমণ এটিই!
আট মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল হজম করে তারা ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।
৬২তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে কলিনদ্রেসের বাড়ানো পাস ধরে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন দোরিয়েলতন। ৭০তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে কলিনদ্রেস ফ্রি কিকে জাল খুঁজে নেন।
শেষ দিকে জীবনের জোড়া গোলে আবাহনীর বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ৮১তম গোলমুখ থেকে টোকায় এবং যোগ করা সময়ে সুলেমানির পাস বুক দিয়ে নামিয়ে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পুরান ঢাকার দলটির প্রতিপক্ষ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।