সেমি-ফাইনালে মোহামেডান

আগ্রাসী ফুটবলের পসরা মেলতে পারল না কেউই। তবে তার মাঝেই পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চট্টগ্রাম আবাহনী পিছিয়ে পড়ার পর হাস্যকর ভুলে হজম করল আরেক গোল। বন্দরনগরীর দলটি শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও তাদের হারিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে মোহামেডান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2022, 12:42 PM
Updated : 2 Jan 2022, 03:37 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার ২-১ গোলে জিতেছে মোহামেডান। দুটি গোলই তারা পেয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে; আট মিনিটের মধ্যে। যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমান এবিমোবোই থ্যাঙ্কগড পিটার।

গত বছর সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল মোহামেডান। অন্যদিকে, গত আসরে সেমি-ফাইনাল খেলা চট্টগ্রাম আবাহনীর পথচলা এবার থামল কোয়ার্টার-ফাইনালে।

ম্যাচের শুরুতে ছিল দারুণ লড়াইয়ের আভাস। দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণ শানায় মোহামেডান। কিন্তু ডান দিক থেকে ওবি মোনেকের নিচু ক্রস সুলেমানে দিয়াবাতে ও শাহেদ মিয়া দুজনই নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে নষ্ট করেন সুযোগ। এরপর দুই দলের খেলায় ছিল না প্রত্যাশিত গতি!

৩৫ মিনিটে হঠাৎই ম্যাচে প্রাণ ফিরে। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে প্রায় ৪০ গজ দূরে এসে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণ নষ্ট করে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসাইন। চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা লাল কার্ডের আবেদন জানালেও রেফারি সুজনকে দেন হলুদ কার্ড।

রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ম্যাচ কমিশনার সুজিত কুমার ব্যানার্জির কাছে আবেদন জানাতে প্রেস বক্সে চলে আসেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ। সুজিত ভিডিও দেখে পরে বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দিলে চলে যান আরমান।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বল দখলের লড়াইয়ে দিয়াবাতেকে ফাউল করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুল হাসান। কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি সামলে নেন রেফারি। হলুদ কার্ড দেখান কামরুলকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে শাখাওয়াত হোসেন রনির শট ফেরান মোহামেডানের গোলরক্ষক। এরপর ৬৩তম মিনিটে মোনেকের জোরালো কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফেডারেশন কাপের ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। অনিক হোসেনের ছোট পাসে বক্সের ভেতর থেকে শাহেদের প্লেসিং শট আরাফাত হোসেনের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।

৭৩তম মিনিটের অবাক করা গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক সাইফুল ইসলামের পাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি কামরুল। বলের দিকে ছুটে আসেন মোহামেডানের শাহরিয়ার ইমন। তাড়াহুড়ো করে কামরুল ক্লিয়ার করতে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু বল ইমনের পায়ে লেগে চোখের পলকে জালে জড়ায়।

সাত মিনিট পর আরিফের ক্রসে চট্টগ্রাম আবাহনীর রুবেল মিয়া ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে থ্যাঙ্কগড হেডে ব্যবধান কমান। কিন্তু তা দলের হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।

সেমি-ফাইনালে মোহামেডান মুখোমুখি হবে শেখ রাসেল ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির মধ্যে জয়ী দলের।