গত গ্রীষ্মের দলবদলে বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে দুই বছরের চুক্তিতে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। নতুন ক্লাবে আর্জেন্টাইন তারকার শুরুটা হয়নি প্রত্যাশামতো। লিগ ওয়ানে ১১ ম্যাচে করেছেন মাত্র একটি গোল। তবে গত মৌসুমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গত নভেম্বরে জিতে নিয়েছেন নিজের সপ্তম বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর।
মেসি আলো ছড়াতে না পারলেও লিগ ওয়ানে গত তিন মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপে চলটি মৌসুমেও আছেন চেনা ছন্দে। এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে গোল করেছেন ৯টি, আর সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ৮টি।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করে আসছেন সময়ের দুই সেরা ফুটবলার মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তাদের উপস্থিতিতেই ইতিমধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন এমবাপে। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এমবাপের (১৪৭) চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল তিন জন- রবের্ত লেভানদোভস্কি (২০৮), মেসি (১৬৮) ও রোনালদো (১৫৭)।
২৩ বছর বয়সী এমবাপের এমন চোখজুড়ানো অর্জনের পরও এররেরার চোখে এখনও মেসিই সেরা। তবে শুক্রবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আগামীতে বিশ্বসেরা হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে এমবাপের মাঝে।
বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল করা মেসিকে প্যারিসের ক্লাবটিতে এখনও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছেন ৬ বার, গড়ে প্রতি ২১৯ মিনিটে একটি গোল। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই করেছেন ৫ গোল। যার মধ্যে রয়েছে ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচে একটি গোল।
মেসির স্বরুপে ফেরাটা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করেন এররেরা। সেক্ষেত্রে দলগতভাবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে সাহায্য করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তিনি।
“মেসির মানের খেলোয়াড়রা মানিয়ে নেওয়ার জন্য কম সময় নেয়। সে ফ্রান্সে, স্পেনে, জাপানে বা মাদাগাস্কারে একইভাবে খেলবে। সে তার সপ্তম ব্যালন ডি’অর জিতেছে এবং (এখনও) এমনভাবে অনুশীলন করে এবং উপভোগ করে যেন মাত্রই সে খেলা শুরু করেছে। কোনো অনুশীলনকে হালকাভাবে নেয় না।”
“এরই মধ্যে আমরা কয়েকবার লিওর সেরা রুপটা দেখেছি, যেমন (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) ঘরের মাঠে (ম্যানচেস্টার) সিটির বিপক্ষে। তবে আমি মনে করি আমাদের সবার দায়িত্বও রয়েছে। তার সেরাটা বের করে আনার জন্য আমাদের তাকে সাহায্য করতে হবে।”
ইউরোপ সেরার মঞ্চে কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ প্রতিযোগিতাটির সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দলের লড়াইয়ে স্প্যানিশ দলটিকেই এগিয়ে রাখলেন এররেরা।
“একটি ক্লাব যারা ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে, তাদের প্রতিপক্ষ এমন একটি দল যারা এখনও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়নি, তাদের বিপক্ষে (রিয়াল) কিছুটা এগিয়েই থাকবে।”