গত বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরে ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে বিদায় নেয় বার্সেলোনা। নেমে যায় ইউরোপা লিগে।
এর আগে সবশেষ বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০০-০১ আসরে। এসি মিলান ও লিডস ইউনাইটেডের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে উয়েফা কাপে (এখনকার ইউরোপা লিগ) নেমে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি।
গ্রীষ্মের দলবদলে ক্লাবের আর্থিক দৈন্যতা ও লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে'র কারণে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি। ধারে আতলেতিকো মাদ্রিদে পাঠানো হয় অঁতোয়ান গ্রিজমানকে। এছাড়াও ক্লাব ছেড়ে যান আরও কয়েকজন খেলোয়াড়।
এর পেছনে বড় কারণ ছিল লা লিগার বেঁধে দেওয়া খেলোয়াড়দের বেতন সীমা, যা কাতালান ক্লাবটি অতিক্রম করেছিল। মেসি-গ্রিজমানরা চলে যাওয়ার পর থেকেই ধুঁকছে বার্সেলোনা।
শুক্রবার নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন লাপোর্তা। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেন, নিজেদের ফিরে পেতে আসছে (শীতকালীন) দলবদলে দলের শক্তি বাড়াবেন তারা। পাশাপাশি উল্লেখ করেন বেতন কাঠামো নিয়ে তাদের বর্তমান বাস্তবতাও।
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আমাদের বাদ পড়া নিয়ে আপনাদের হতাশা আমি ভাগ করে নিচ্ছি। আমরা সবাই একমত যে আমাদের মূল দলকে শক্তিশালী করতে হবে।”
“সমস্যা হল, আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে (আগের সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ) কিছু অসামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তি পেয়েছি যা আমাদের বেতনের কাঠামোতে মার্জিন দিচ্ছে না। আমরা এই শীতে (দলবদলে) দলকে উন্নত করার জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছি। আমরা এটি করার জন্য কাজ করছি এবং আমরা সেটা অর্জন করবো।”
কঠিন সময়ে ক্লাবের পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন লাপোর্তা।
“এখন আমি ক্লাবের ভালোর জন্য সবাইকে এই সময়ে একই দিকে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
লা লিগায় ১৫ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে বার্সেলোনা। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে লিগে আগামী রোববার ওসাসুনার বিপক্ষে খেলবে শাভি এরনান্দেসের দল।