‘রোনালদোকে ছাপিয়ে যাওয়া নয়, আমার লক্ষ্য নিজের উন্নতি’

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অর্জনের তালিকায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে সময়ের সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মধ্যে। তবে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা নিয়ে ভাবেন না আর্জেন্টাইন তারকা। বললেন, অন্যরা কী করছে সেটা নিয়ে না ভেবে তার মূল লক্ষ্য কেবলই নিজের উন্নতি করা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2021, 03:23 PM
Updated : 4 Dec 2021, 03:23 PM

২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদো যোগ দেওয়ার পর থেকেই মূলত জমে ওঠে তার সঙ্গে মেসির দ্বৈরথ। গোলসংখ্যা, বর্ষসেরার খেতাব বা দলগত অর্জন, সব জায়গাতেই এই দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল প্রায় সমানে সমান। একজন একটা রেকর্ড গড়েন তো আরেকজন সেটা ভেঙে দেন।

সময়ের পরিক্রমায় দুজনই লা লিগা ছেড়েছেন। ২০১৮ সালে রিয়াল ছাড়ার পর ইউভেন্তুস ঘুরে রোনালদো এখন আছেন ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে। অন্যদিকে, গত গ্রীষ্মের দলবদলে বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি।

দুজনের অর্জনের খাতায়ও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। সদ্যই রেকর্ড সপ্তমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া মেসির চেয়ে পুরষ্কারটি দুইবার কম জিতেছেন রোনালদো। অন্যদিকে, চলতি বছরই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি অফিসিয়ালি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৮০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পর্তুগিজ তারকা।

ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এ শনিবার প্রকাশিত দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মেসি কথা বলেছেন বিভিন্ন বিষয়ে। সেখানেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল রোনালদোর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। ৩৪ বছর বয়সী ফুটবলার বলেন, তাদের মধ্যকার লড়াইটা উপভোগ করলেও তার মনোযোগ কেবলই নিজের উন্নতি নিয়ে।

“আমি সবসময় নিজের আরও উন্নতি করতে চেয়েছি, অন্যরা কী করছে, তা নিয়ে চিন্তা করি না।”

“ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কারণ আমরা একই লিগে বেশ কয়েক বছর ধরে খেলেছি। এটি দুর্দান্ত ছিল এবং আমাদের ফুটবলার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, কিন্তু সেটা সরাসরি নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে।”

অনেকের মতে, ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মেসিই। তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক সন্তুষ্ট সেরাদের বিবেচনায় থাকতে পেরেই।

“আমি শুধু সেরা হতে চেয়েছি। কখনই বলিনি যে আমি ইতিহাসের সেরা এবং আমি এটি নিয়ে না ভাবার চেষ্টা করি। সেরাদের একজন হিসেবে বিবেচিত হওয়াটাই যথেষ্ট এবং এমন কিছু আমি কখনও কল্পনাও করিনি।"

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলার ধরনে কিছুটা বদল আসলেও খেলোয়াড় হিসেবে এখনও আগের মতোই সমান কার্যকর মেসি। চলতি বছরই কোপা আমেরিকা জয়ের মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে পেয়েছেন প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ। দেশের ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর মিশনে চার গোল করে ও পাঁচটি করিয়ে সামনে থেকে পথ দেখান তিনি। আসরে ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের মতে, জয়ের তীব্র ক্ষুধাই তাকে খেলোয়াড় হিসেবে বেড়ে ওঠায় সাহায্য করেছে।

"যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমি হেরে যাওয়াকে অপছন্দ করে বড় হয়েছি এবং সব সময় জিততে চেয়েছি। আমি এখনও প্রতিটি ম্যাচ জিততে চাই।"