মোহামেডানকে হারিয়ে সেনাবাহিনীর চমক

একদিকে পেশাদার সব ফুটবলারে গড়া মোহামেডান স্পোর্টিং। অন্যদিকে, মেহেদী হাসান মিঠু ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলে নেই কোনো পেশাদার ফুটবলার। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে ভিন্ন চিত্র! রঞ্জু শিকদারের দুর্দান্ত সাইড ভলি এবং শাহরিয়ার ইমনের গোলে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখল সেনাবাহিনী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 02:14 PM
Updated : 2 Dec 2021, 03:01 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের লড়াইও জমিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।

দিনের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৩-২ গোলে হারানো সাইফ স্পোর্টিং ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলে শীর্ষে। সেনাবাহিনীর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে এ প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু করেছিল সাইফ।

দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট সেনাবাহিনীর। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ শুরু করা মোহামেডানেরও দুই ম্যাচে পয়েন্ট ৩। টানা দুই ম্যাচ হারা মুক্তিযোদ্ধার কোয়ার্টার-ফাইনালের আশা টিকে আছে স্রেফ কাগলে-কলমে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মোহামেডান মুখোমুখি হবে সাইফ স্পোর্টিংয়ের, সেনাবাহিনী লড়বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে।

আগের ম্যাচে ভালো খেলেও সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হার যেন তাতিয়ে রেখেছিল সেনাবাহিনীকে। মোহামেডানকে শুরু থেকে চেপে ধরে তারা। অষ্টাদশ মিনিটে রঞ্জুর দারুণ সাইড ভলিতে এগিয়েও যায় দলটি। ডান দিক থেকে ইমতিয়াজ রায়হানের ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে হাওয়ায় ভেসে নেওয়া সাইড ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন রঞ্জু।

পরের মিনিটে সুলেমানে দিয়াবাতের জোরালো শট আটকে সেনাবাহিনীর ত্রাতা গোলরক্ষক আলমগীর হোসেন। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলমুখে এটাই ছিল মোহামেডানের একমাত্র আক্রমণ!

২০তম মিনিটে আবারও সুযোগ পান রঞ্জু। সতীর্থের নিচু পাস বক্সের মধ্যে পেলেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি। বল তার পা ছুঁয়ে চলে যায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের কাছে।

৬০তম মিনিটে সমতায় ফেরার আরেকটি ভালো সুযোগ পায় গত লিগে ষষ্ঠ হওয়া মোহামেডান। দিয়াবাতের পাস থেকে সাইফ শামসুদের কোনাকুনি শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান সেনাবাহিনীর গোলরক্ষক আলমগীর।

৯ মিনিট পর ম্যাচের ভাগ্য যেন লেখা হয়ে যায় শাহরিয়ার ইমনের গোলে। ডান দিক দিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।

শেষ দিকে ইমতিয়াজের শট আটকাতে গিয়ে পোস্টে আঘাত পান মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন। কিছুক্ষণ চিকিৎসা নেওয়ার পর মাঠ ছাড়েন তিনি। বদলি নামেন আহসান হাবিব।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে জাফর ইকবালের কর্নারের পর বক্সে জটলার ভেতর থেকে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন মোহামেডানের মিডফিল্ডার মিনহাজুর আবেদিন। কিন্তু নতুন মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী দলটির হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।