অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আশায় এই বছরের শুরুতে প্যারিসের ক্লাবটির দায়িত্ব দেওয়া হয় আর্জেন্টাইন কোচ পচেত্তিনোকে।
এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে মেসির পাশাপাশি তারকা সেন্টার-ব্যাক সের্হিও রামোস, প্রতিভাবান রাইট-ব্যাক আশরাফ হাকিমি, মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম ও গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মার মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের দলে টানে পিএসজি। নির্ধিদ্বায় বলে দেওয়া যায়, ইউরোপের সবচেয়ে তারকাসমৃদ্ধ দল তারাই।
আক্রমণভাগে মেসি, নেইমার ও এমবাপে তো আছেনই, বিকল্প হিসেবে আছেন দি মারিয়া, মাওরো ইকার্দি, ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের মতো ফুটবলার। অনেক সময় তাই দল সাজাতে মধুর বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পচেত্তিনোকে। স্বাভাবিকভাবে, কোনো খেলোয়াড় সুযোগ না পেলে তার মন খারাপ হবে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আছে তাদের পরিবার, ভক্তরাও।
“খেলোয়াড়দের আবেগ সামলাতে হয় আমাদের, প্রত্যেকের আচরণ একরকম নয়। নানা উত্থান-পতন থাকে...একজন খুশি হচ্ছে, আরেকজন হয়তো কষ্ট পাচ্ছে, একজন ভালো পারফর্ম করছে, আরেকজন পারছে না”।
“আমি মনে করি, কোচিং স্টাফের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবার মানসিক অবস্থার ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করা। ভুলে গেলে চলবে না আমাদের দলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা আছে, তাদের পরিবার, মিডিয়া প্রতিনিধি, ভক্তরাও আছে। এটা (তাদের সামলানো) সহজ নয়।”
চলতি মৌসুমে লিগ ওয়ানে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লঁসের চেয়ে তারা এগিয়ে ১০ পয়েন্টে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রথম ম্যাচে শনিবার ঘরের মাঠে নঁতের বিপক্ষে খেলবে গত মৌসুমে লিগ শিরোপা হাতছাড়া করা দলটি।
আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এ’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে পিএসজি। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি।