গত জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাটিতে হারিয়েই কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। এরপর সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের মাঠে মুখোমুখি হয় দল দুটি। তবে সাও পাওলোয় খেলা শুরুর পাঁচ মিনিট পরই স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচটি। সেটি নিয়ে তদন্ত করছে ফিফা।
এর মাঝেই আর্জেন্টিনার মাঠে হতে যাচ্ছে ফিরতি লেগ। সান হুয়ানে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
নিজেদের মাঠে গত শুক্রবার কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের প্রথম দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে ব্রাজিল। ১২ ম্যাচে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পরদিন আনহেল দি মারিয়ার একমাত্র গোলে উরুগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের সমান ম্যাচে আট জয় ও চার ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
“(ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা) খুবই কঠিন। বাছাইয়ে এই অঞ্চলে ব্রাজিল সবার ওপরে আছে, এরই মধ্যে তারা বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে...সাম্প্রতিক সময়ে এটা ব্রাজিলের সবচেয়ে উঁচু মানের দল। ম্যাচে তারা খারাপ শুরু করলে কিংবা বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে দ্রুত সামলে নেয়, প্রতিপক্ষকে কোনো ছাড় দেয় না।”
“আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং আমরা জানি, তাদের কোথায় আঘাত করতে হবে। প্রায় পুরো স্টেডিয়াম দর্শকে পূর্ণ থাকবে, (গত ম্যাচে) যা সম্ভব হয়নি। আশা করি সবকিছু উপভোগ্য হবে।”
উরুগুয়ের মাঠে দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে শুরুর একাদশে রাখেননি স্কালোনি। ৭৬তম মিনিটে অধিনায়ককে বদলি নামান তিনি। পায়ের পেশির চোটে ক্লাব পিএসজির হয়ে সবশেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি ছয়বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। বিষয়টি মাথায় রেখেই তাকে শুরুর একাদশে রাখা হয়নি, উরুগুয়ে ম্যাচ শেষে বলেছিলেন স্কালোনি। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে মেসিকে শুরুর একাদশে ফেরানোর কথা নিশ্চিত করলেন তিনি।
“ওই দিন (উরুগুয়ের বিপক্ষে) শারীরিকভাবে সে ভালো অবস্থায় ছিল এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাকে শেষ কয়েক মিনিট খেলানোর, যাতে সে ছন্দ পেতে পারে। এটা নিশ্চিত আগামীকাল সে (শুরু থেকে) খেলবে।”