রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় শুক্রবার রাতে বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। চোটের ছোবলে নিয়মিত অনেক খেলোয়াড়কে হারানো ইতালির জালে শুরুতেই বল পাঠান সিলভান উইডমার। প্রথমার্ধেই জিওভান্নি দি লরেন্সোর গোলে সমতায় ফেরে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
গত সেপ্টেম্বরে প্রথম দেখায় সুইজারল্যান্ডের মাটিতে দুই দলের ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল, গোলশূন্য।
‘সি’ গ্রুপে সাত ম্যাচে সমান চারটি করে জয় ও তিনটি করে ড্রয়ে দুই দলের পয়েন্ট সমান ১৫। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আছে ইতালি।
গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা সুইসরা খানিক পর দুই মিনিটে আরও দুটি ভালো সুযোগ পায়। তবে ওকাফোরের বাঁ থেকে দূরের পোস্টে নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর দারুণ পজিশন থেকে উড়িয়ে মারেন জেরদান শাচিরি।
ইতালি প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ২২তম মিনিটে। প্রথমে জর্জিনিয়োর শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর গোলমুখে নিকোলো বারেল্লার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ান সমের।
৩৬তম মিনিটে স্বাগতিক শিবিরে সমতার স্বস্তি ফেরে। বাঁ দিক থেকে দারুণ ফ্রি কিকে ছয় গজ বক্সের মুখে বল বাড়ান ফরোয়ার্ড লরেন্সো ইনসিনিয়ে আর লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সো। যথেষ্ট সময় পেয়েও বলের কাছে পৌঁছাতে কিঞ্চিং দেরি করে ফেলেন সমের।
৬৫ মিনিটের পর একটু একটু করে চাপ বাড়াতে থাকে ইতালিয়ানরা। ৭৫তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত তারা। তবে ইনসিনিয়ের ক্রসে বল একজনের গায়ে লেগে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল, আগেই উল্টোদিকে ঝাঁপিয়ে পড়া সমের কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন।
৮৫তম মিনিটে ডি-বক্সের মুখ থেকে ফেদেরিকো চিয়েসার শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। এর দুই মিনিট পরই সুইস ডি-বক্সে দোমেনিকো বেরার্দি পেছন থেকে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু স্পট কিক থেকে উড়িয়ে মেরে কেবল হতাশাই বাড়ান জর্জিনিয়ো।
অপেক্ষা এবার শেষ রাউন্ডের রোমাঞ্চের। আগামী সোমবার নর্দান আয়ারল্যান্ডের মাঠে খেলবে ইতালি। আর সুইজারল্যান্ড ঘরের মাঠে লড়বে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পাবে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে ইউরোপ থেকে আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে খেলার।