আলবেনিয়া ও সান ম্যারিনোর বিপক্ষে ম্যাচ দুটির জন্য বৃহস্পতিবার যথারীতি গ্রিনউডকে বাইরে রেখে ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন সাউথগেট।
গত বছর সেপ্টেম্বরে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় গ্রিনউডের। এরপর কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের জন্য তাকে ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
এরপর থেকে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে আর খেলেননি গ্রিনউড।
চোটের কারণে ছিলেন না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দলেও। সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার পর চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে গোল করেছেন ৪টি। স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ড দলে গ্রিনউড ডাক না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাউথগেট জানান, গ্রিনউডের ইচ্ছাতেই তাকে জাতীয় দলে ডাকা হচ্ছে না।
“সেপ্টেম্বরে ক্যাম্পের আগে আমাদের আলোচনা হয়েছিল এবং আমরা একটি সমঝোতায় আসি। (এফএ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর) জন ম্যাকডারমট ও আমি ইউনাইটেডে গিয়েছিলাম এবং ম্যাসন ও তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছিল।”
“তাকে আগামী বছরের আগ পর্যন্ত জাতীয় দলের বাইরে রাখার ব্যাপারে আমরা সম্মত হই…যদি সে নিজেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তাহলে সে ইংল্যান্ড স্কোয়াড বা ইংল্যান্ড দলের খুব কাছাকাছি থাকবে। বিষয়টা সে বুঝতে পেরেছে।”
দলের বাইরে রাখলেও তরুণ ফরোয়ার্ডকে হিসেবের বাইরে রাখছেন না সাউথগেট।
“সে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চায়, এই বিষয়ে সে নিজের কাছে পরিষ্কার। আমরা ম্যাসনকে দলে রাখছি না এই কারণে নয় যে, আমাদের মতে সে যথেষ্ট ভালো না বা আমরা তার অনুরোধে খুশি নই।”
“আমরা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি এবং গ্রিনউডের জন্য অপেক্ষা করতে পেরে আমরা প্রস্তুত।”
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে ৮ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড।
আগামী ১২ নভেম্বর ওয়েম্বলিতে আলবেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর ১৫ নভেম্বর সাউথগেটের দল মাঠে নামবে সান ম্যারিনোর বিপক্ষে।