ব্রুসনের আক্রমণাত্মক কৌশলেই থাকছেন লেমোস

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে হঠাৎ করে দায়িত্ব পেয়ে দলের খোলনলচে পাল্টে দিয়েছিলেন অস্কার ব্রুসন। জেমি ডের কোচিংয়ে রক্ষণাত্মক খেলা জামাল-জুয়েলরা সাফে খেলেন আক্রমণাত্মক ফুটবল। সময়ের স্বল্পতার কারণে তাই কৌশলে খুব একটা অদল-বদল করার পক্ষে নন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মারিও লেমোস। শ্রীলঙ্কার চার জাতি টুর্নামেন্টে ব্রুসনের কৌশলেই থাকতে চান এই পর্তুগিজ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2021, 02:33 PM
Updated : 1 Nov 2021, 02:33 PM

শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফিতে আগামী ৮ নভেম্বর সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। ১১ নভেম্বর মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। তিন দিন পর প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এ উপলক্ষে সোমবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের অনুশীলন সেরেছে দল।

ব্রুসন আগ্রহী না হওয়ায় শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্টের দায়িত্ব ওঠে লেমোসের কাঁধে। কৌশল নিয়ে এ মুহূর্তে খুব বেশি ভাঙা-গড়ার মধ্যে যেতে চান না ৩৫ বছর বয়সী এই কোচ।

“দলে অনেক পরিবর্তন আনার জন্য যথেষ্ট সময় আমার হাতে নেই। দল সাফে যেভাবে খেলেছে, তার ধারাবাহিকতা শ্রীলঙ্কাতেও ধরে রাখার চেষ্টা করব আমরা। কিছু কিছু বিষয়ে একটু পরিবর্তন হতে পারে, যেহেতু আমি ভিন্ন কোচ এবং আমার ব্যক্তিত্বও ভিন্ন, সে কারণে আমি কিছু যোগ করার চেষ্টা করব এবং দলকে প্রস্তুতি করব।”

“আমি মনে করি না, আমার অধীনে ছেলেদের কোনো সমস্যা হবে। অস্কার যেভাবে ওদের শিখিয়েছে, তার ট্রেনিং স্টাইল, পাসিং গেম, প্রেসিং-এসব ক্ষেত্রে তার সঙ্গে আমার বড় কোনো পার্থক্য নেই। কিছু বিষয় আরও গোছালো হওয়া প্রয়োজন, বল হারালে দ্রুত তা ফিরে পাওয়া, পজিশন হারালে তা পুনরুদ্ধার করা, এই সব বিষয়গুলোয় একটু পরিবর্তন আসবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ছোটখাটো বিষয়গুলো পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।”

২০০৫ সালের পর সাফের ফাইনাল খেলার আশা এবারও পূরণ হয়নি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্টে তাই কিছু একটা করে দেখানোর তাড়না অনুভব করছেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লেমোসও। খেলোয়াড়দের ফিটনেস, মানসিক শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছেন তিনি।

“ছেলেদের আত্মবিশ্বাস, নিজেদের উপর আস্থা বাড়ানোর কাজ করছি। আমাদের কিছু জিততে হবে, চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, কিছু করার চেষ্টা করতে হবে, কোনো লুকোছাপা নয়, দায়িত্ব নিতে হবে-এই বার্তাগুলো ছেলেদের দিয়েছি।”

গত ২৫ অক্টোবর ক্যাম্প শুরু হলেও ডাক পাওয়া ২৪ জনকে এখনও পাননি লেমোস। বিশ্বনাথ ঘোষ, মতিন মিয়া ও সোহেল রানা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে বাইরে। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া সোমবার ঢাকায় ফিরলেও অনুশীলনে নামেননি। পাসপোর্ট জটিলতায় এখনও ফিনল্যান্ডে কাজী তারিক রায়হান। বিপলু আহমেদ, মাশুক মিয়া জনি ও আতিকুজ্জামানের ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ার ব্যাপারে বাফুফে এখনও কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।

এর বাইরে জাতীয় দলের ছয় জন খেলোয়াড় বর্তমানে উজবেকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই খেলছেন। রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, টুটুল হোসেন বাদশা, মাহবুবুর রহমান সুফিল ও মোহাম্মদ হৃদয় সরাসরি শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে যোগ দিবেন। অনুশীলনে না পেলেও খেলার মধ্যে থাকা এই ছয় জনকে পুরোপুরি ফিট পাওয়ার আশা লেমোসের।

“ভালো বিষয় হচ্ছে, আমরা শ্রীলঙ্কা গিয়ে দুই দিন সময় পাব। ওরা উজবেকিস্তান থেকে এসে দলের সঙ্গে যোগ দিবে। আমি খেলোয়াড়দের চিনি। আশা করি, তারা ফিট হয়ে যোগ দিবে দলের সঙ্গে। ওই দুই দিন সবকিছু ঠিকঠাক করে নিতে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে এবং আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”