ব্রাজিল দলে অভিষেকের পর থেকে দলটির পোস্টার বয় নেইমার। লম্বা সময় ধরে লাতিন আমেরিকার দেশটির আক্রমণভাগের মূল কাণ্ডারি তিনি। ১০৯ ম্যাচে ৬৯ গোল করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিংবদন্তি পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড ছাপিয়ে শীর্ষে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে বার বার একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে। বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকা, এখনও দেশের হয়ে বড় কোনো আসরে শিরোপার স্বাদ পাননি নেইমার।
সম্প্রতি স্পোর্টস স্ট্রিমিং সার্ভিস ডিএজেডএনকে ‘নেইমার অ্যান্ড দা লাইন অব কিংস’ নামের একটি ডকুমেন্টারি উপলক্ষে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই বলেন, আগামী বছর কাতার বিশ্বকাপের পর হয়তো বৈশ্বিক আসরে আর দেখা যাবে না তাকে।
“আমার মনে হয়, এটাই (কাতার বিশ্বকাপ) আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি এটাকেই আমার শেষ বিশ্বকাপ ভাবছি। কারণ, আমি জানি না, (এরপর) খেলাটা চালিয়ে যাওয়ার মতো মানসিক শক্তি আমার আছে কি না।”
“তাই নিজের সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপে যেতে সম্ভাব্য সবই করব। আমার দেশকে জেতাতে, ছোটবেলা থেকে আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা সত্যি করতে সবকিছুই করব। আশা করি, আমি এটা করতে পারব।”
ব্রাজিলের সিনিয়র দলের হয়ে শুধু ২০১৩ কনফেডারেশন্স কাপই জিতেছেন নেইমার। এ ছাড়া ২০১৬ রিও অলিম্পিকের সোনা জিতেছেন তিনি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে।
চলতি আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিল দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের বিপক্ষে পরবর্তী দুই ম্যাচে তার খেলা প্রায় নিশ্চিত। নয় ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আছে তিতের দল।