মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুই দলের ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠল মোহনবাগান। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে ছিটকে গেল কিংস।
দুটি পরিবর্তন এনে মোহন বাগান ম্যাচের একাদশ সাজান ব্রুসন। মাহবুবুর রহমান সুফিল ও বিপলু আহমেদের বদলে শুরুর একাদশে জায়গা পান সুশান্ত ত্রিপুরা ও আতিকুর রহমান ফাহাদ।
নকআউট পর্বে উঠতে কিংসের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। প্রথমার্ধে শুরু থেকে আক্রমণে আধিপত্যও করতে থাকে ব্রুসনের দল। চতুর্দশ মিনিটে ডিফেন্ডার তপু বর্মনের হেড ফিরে আসার পর তার ফিরতি হেডে রাউল অস্কার বেসেরার ভলি লক্ষ্যে থাকেনি।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুটি সুযোগ তৈরি করে মোহন বাগান। অষ্টাদশ মিনিটে সতীর্থের ছোট পাস ধরে ক্রিস্টন কোলাকোর শট পোস্টের বাইরে যায়। কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দ্রুত ছুটে এসে পথ আগলে দাঁড়ানোর কোলাকো ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। ২৩তম মিনিটে অধিনায়ক কৃষ্ণ রায়ের ব্যাক ভলি ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
২৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে কিংসের ডাগআউট। মাঝমাঠের একটু উপর থেকে আক্রমণে ওঠা জোনাথন ফের্নান্দেস দি সিলভা পাস বাড়ান রবসন দি সিলভা রবিনিয়োকে। ফিরতি পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে একটু সময় নেন। এরপর আচমকা বুলেট গতির শটে খুঁজে নেন জাল। মোহন বাগান গোলরক্ষক অমরেন্দ্র সিং ঝাঁপিয়ে পড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বড় ধাক্কা খায় কিংস। প্রথম দফায় অনেকটা লাফিয়ে বল আটকানোর পর বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাওয়ার সময় মোহন বাগানের শুভাশিস বোসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সুশান্তের। লালকার্ড পান কিংসের ডিফেন্ডার। ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে সুশান্তের চার্জ খুব একটা কড়া ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে রবসনের হেড এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে কিংস। রেফারির সাড়া মেলেনি। একটু পর বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রবিনিয়োকে আটকাতে মুখে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখেন মোহন বাগানের মিডফিল্ডার দীপক ট্যাংগ্রি।
৭২তম মিনিটে উইলিয়ামসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট ফিস্ট করে ফেরান জিকো। চার মিনিট পর মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনিকে তুলে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে নামান ব্রুসন। এরপর ডিফেন্ডার বিশ্বনাথকে তুলে ফরোয়ার্ড সুফিলকে এবং তারিকের জায়গায় অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানকে নামান কিংস কোচ।
শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কিংস। ৮৩তম মিনিটে রবিনিয়োর দূরপাল্লার নিচু শট জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। একটু পর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের কোনাকুনি শট গোলরক্ষকে ফাঁকি দেওয়ার পর পোস্টে লেগে ফিরে। বাকিটা সময় রবিনিয়ো, ডিফেন্ডার খালিদ শাফি চাপ ধরে রাখলেও কিংসকে এনে দিতে পারেননি জয়সূচক গোল।