লিগে রোববার লেভান্তের মাঠে ৩-৩ ড্র করে কার্লো আনচেলত্তির দল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে দুইবার দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস। দুটি গোলই ছিল দারুণ।
৭৩তম মিনিটে ডিফেন্ডারের পেছন থেকে ছুটে গিয়ে কাসেমিরোর বাড়ানো বল ধরে এগিয়ে যান ভিনিসিউস। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে আড়াআড়ি শটে বল জালে পাঠান তিনি।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে আরেকটি দারুণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভিনিসিউস। দুরূহ কোণ থেকে তার শট পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয়।
আলাভেসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪-১ গোলের জয়েও দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে একটি গোল করেছিলেন ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ৩ গোল নিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের আনহেল কোররেয়ার সঙ্গে যৌথভাবে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনি।
প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই। তবে গত মৌসুমে ফিনিশিংয়ে দুর্বলতার জন্য সমালোচনার মুখে ছিলেন ভিনিসিউস। নতুন মৌসুমে দারুণ উন্নতির পর জানালেন, কেবল ফিনিশিংয়ে নিয়েই কাজ করেননি। সার্বিকভাবে নিজের খেলার উন্নতির জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন।
“লা লিগায় শুরুটা ভালো করতে পেরে আমি খুব খুশি,তবে আমাকে এটা ধরে রাখতে হবে। দলকে সাহায্য করার জন্য শুধু ফিনিশিং নিয়ে কাজ করছি না, বরং খেলার ট্যাকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল দিক নিয়েও কাজ করছি। রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এভাবেই চালিয়ে যাব।”
“আমাদের মার্কিং করে রাখা খেলোয়াড়দের পরাস্ত করার জন্য আমরা অনেক কাজ করছি। কোচ আমাকে এই বিষয়ে উন্নতি করতে বলেছিলেন এবং যখন কাসেমিরো আমাকে গোলের জন্য পাসটা দিল, এটা সেটির একটি উদাহরণ। দ্বিতীয় গোলটিও ভালো ছিল। দলকে সাহায্য করতে আমি কঠোর পরিশ্রম করছি।”