বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম নারী রেফারি

কিছুটা জড়তা ছিল। ছিল স্নায়ুর চাপ। একজন মেয়ে হিসেবে ছেলেদের ফুটবলে রেফারিং বলে কথা! সালমা আক্তার চাপ সামলে নিলেন। দায়িত্ব পালন করলেন সহকারী রেফারির। ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রথম নারী রেফারি হয়ে গড়লেন ইতিহাস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2021, 01:33 PM
Updated : 16 August 2021, 05:00 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার উত্তর বারিধারা-আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ম্যাচে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সালমা। ম্যাচটিতে আরামবাগ ১-০ গোলে হেরে লিগ থেকে অবনমিত হয়ে গেছে।

মাঠের খেলার বাইরে সবার বাড়তি নজর ছিল সালমার দিকে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই ২৩ বছর বয়সী রেফারি জানালেন, তার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা।

“শুরুতে একটু কেমন কেমন লাগছিল, নার্ভাস লাগছিল। প্রথমবার বলেই হয়ত এরকম লাগছিল। কিন্তু কিক অফের বাঁশি বাজতেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। (ছেলেদের ফুটবলে রেফারিং করে) অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হলো।”

“আসলে রেফারিংয়ে আসার শুরুর দিক থেকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। ফলে এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব একটা কষ্ট হয়নি।”

২০১২ সালে রেফারিং কোর্স করার পরের বছরই মেয়েদের ফুটবলে দায়িত্ব পালন শুরু করেন সালমা। চলতির বছরের জানুয়ারিতে ফিফার সহকারী রেফারি হন তিনি।

নেত্রোকোনা থেকে উঠে আসা সালমা তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। স্নাতক করছেন ইডেন কলেজে। জানালেন শুরু থেকেই চেয়েছেন ফুটবলের সঙ্গে থাকতে।

“আসলে (ফুটবল) খেলার সুযোগ ওভাবে পাইনি। কিন্তু ফুটবলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি সবসময়। এ কারণেই রেফারিংয়ে আসা। আমাদের ওখানে মেয়েদের ফুটবল দল ছিল না, ফলে খেলার সুযোগ মেলেনি।”

“আসলে আমাদের দেশে তো মেয়ে রেফারি বেশি নেই। রেফারিংয়ে আসার শুরু থেকে আমি সবার সহযোগিতা পেয়েছি। তাই এই চ্যালেঞ্জিং পেশাতে আসতে পেরেছি।”