শুক্রবার বিয়েটা সেরেছেন সভিতোলিনা-মোফিঁস। দুদিন পর ধরেছেন টোকিওগামী বিমান। টোকিও পৌঁছানোর পর গত মঙ্গলবার থেকে আরিকা টেনিস পার্কে অনুশীলন করছেন মেয়েদের এককের র্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইউক্রেনের সভিতোলিনা।
পাঁচ বছর আগে রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিলেন সভিতোলিনা। টোকিওতে তা ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ঘাম ঝরাচ্ছেন তিনি। জানালেন, হানিমুন নয়, এখন সময় অলিম্পিকে মজে থাকা। আগামী শুক্রবার পর্দা উঠবে টোকিও অলিম্পিকের। শেষ হবে ৮ অগাস্ট।
“এক বছরে অনেক প্রতিযোগিতায় খেলতে অভ্যস্ত আমরা। তাই বিশ্রামের সময় নেই। এখন সময় টেনিসে মনোযোগ দেওয়া এবং অবশ্যই অলিম্পিকে মনোনিবেশ করা। যে কোনো অ্যাথলেটেরই অলিম্পিকে খেলতে আসাটা বিশেষ ব্যাপার। তাই মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা আগামী নভেম্বরে।”
রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে দারুণ চমক উপহার দিয়েছিলেন সভিতোলিনা। তারকা খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামকে তৃতীয় রাউন্ডে হারিয়েছিলেন। সেসময় তার বয়স ছিল ২১ বছর, র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ছিল ২০তম। কিন্তু সে যাত্রা এগোয়নি বেশি দূর। চেক রিপাবলিকের পেত্রা কেভিতোভার কাছে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনালে থামে।
মাঝের সময়টাতে আরও পরিণত হয়েছেন সভিতোলিনা। র্যাঙ্কিংয়েও হয়েছে উন্নতি। টোকিও আসরে মেলে ধরতে চান নিজের সেরাটা। অলিম্পিকের আগ মুহূর্তে বিয়ের প্রসঙ্গে দিলেন মজার উত্তরও।
“সত্যি বলতে এটা আমার কাছেও অবিশ্বাস্য। আমার জীবন রোমাঞ্চকর মুহূর্তে ঠাসা। এই মুহূর্তে বিয়ে করাটা ছিল অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কোভিড সীমাবদ্ধতার কারণে দুই পরিবারকে একত্রিত করাও ছিল অবিশ্বাস্য। তবে দারুণ সময় কাটালাম আমরা।”
“কিন্তু এখন আমরা এখানে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং আশা করি আমরা ভালো খেলব টোকিওতে।”