ওয়েম্বলিতে মঙ্গলবার মাঠের ফুটবলে দাপট দেখালেও ফল পক্ষে আনতে পারেনি স্পেন। ম্যাচের ৬৫ ভাগ সময় বল দখলে রেখে, ৯০০-এর বেশি পাস খেলে, প্রতিপক্ষের দ্বিগুণের বেশিবার গোলে শট নিয়েও একটির বেশি গোল তারা করতে পারেনি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে ওঠে ইতালি।
পায়ে বল রাখলেও আক্রমণে ধার থাকে না, স্পেনকে নিয়ে এই অভিযোগ পুরনো। এই ম্যাচের পরও তা উচ্চকিত হচ্ছে যথেষ্ট। তবে এনরিকে সমস্যার কিছু দেখছেন না নিজেদের ধরনে। বরং প্রতিপক্ষের কৌশলের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে।
“অতিরিক্ত সময়ে ওরা স্রেফ চেয়েছে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে। তবে আমরা আরও আধ ঘণ্টা খেলতে পারতাম। যা হয়েছে এবং দেখেছি, তাতে আমরা খুশিই হতে পারি। আমরা নিজেদের ধরনে খেলার চেষ্টা করে গেছি।”
“আমরা কিভাবে খেলতে চাই, এটা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। ফুটবলাররা এটায় বিশ্বাস রেখেছে। আমি কেবল তাদের অভিনন্দনই জানাতে পারি, কোনো অভিযোগ নেই আমার।”
টুর্নামেন্টের তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও দুঃখ নেই বলেই দাবি এনরিকের। বরং গর্বের অনেক কিছু দেখছেন তিনি।
“আমার জন্য এটি কষ্টের রাত নয়, মোটেও নয়। অবশ্যই হতাশা আছে কিছু, তবে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে এসব হয়ই। জয়-হারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হয়। এই দলের সবাই গর্ব করতে পারে। আমাদের অনেক তরুণ ফুটবলার আছে, তারা যা করেছে, এই বয়সে অনেকে তা ভাবতেও পারে না।”
“শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা একটি দল হয়ে খেলেছি। আমরা দেখিয়েছি, এই দল একতাবদ্ধ। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘুরে দাঁড়ানো এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে আবার আমাদের দেখা হবে।”