ইউরোর প্রথম সেমি-ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১টায় ইতালি মুখোমুখি হবে স্পেনের।
২০১২ সালে পোল্যান্ড-ইউক্রেনের আসরে দারুণ খেলে ফাইনালে উঠেছিল ইতালি। কিন্তু কিয়েভের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের। খেই হারিয়ে, দুই অর্ধে দুটি করে গোল হজম করে উড়ে গিয়েছিল ৪-০ ব্যবধানে।
কিয়েভের সেই ক্ষত বয়ে বেড়ালেও এবারের ম্যাচটিকে প্রতিশোধের উপলক্ষ মনে করেন না বোনুচ্চি। ভিন্ন একটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ইতিবাচক ফল পাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে চান বলে আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জানালেন দেশের হয়ে ১০৭ ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্ডার।
“সেই ফাইনাল আমাদের তেতো স্বাদ দিয়েছিল। কারণ, আমরা নিজেদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারিনি এবং আমাদের শক্তিরও ঘাটতি ছিল। তবে (ফাইনালের) ফলাফল ছিল যথার্থ।”
“তখনকার চিত্রটা ভিন্ন ছিল এবং সামনের লড়াই হবে একেবারেই ভিন্ন আরেকটি ম্যাচ। (নিজেদের) রক্ষণে তাদের থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। কেননা, মোরাতা ও দানি ওলমো খুব দ্রুত গতির।”
২০১৬ সালের আসরে অবশ্য স্পেনকে হারিয়েছিল ইতালি। শেষ ষোলোয় স্পেনকে ২-০ গোলে ছিটকে দিলেও কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে জার্মানির কাছে হেরে যায় তারা।
পরের সময়টা ইতালিয়ান ফুটবলের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন। ২০১৮ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায় তারা। নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন রবের্তো মানচিনি। ধীরে ধীরে বদলে দেন দলটির চিত্র।
এবারের আসরে দাপট দেখিয়ে এখনও অপরাজিত ইতালি। সব মিলিয়ে বাছাই ও মূল পর্বে ইউরোয় টানা ১৫ ম্যাচে জিতেছে দলটি।