ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে শুক্রবার বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচে এই চোটে পড়েন স্পিনাস্সোলা। বল দখলের লড়াইয়ে লম্বা পা বাড়িয়ে হুট করেই ব্যথায় কুঁকড়ে যায় এই লেফট ব্যাকের মুখ। পায়ে হাত দিয়ে ইশারায় মেডিকেল স্টাফদের ডেকে পাঠান তিনি। একটু পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর, একিলিস টেন্ডনের এই চোট গুরুতর। এই টুর্নামেন্ট তো বটেই, কয়েক মাসের জন্য বাইরে ছিটকে পড়তে হতে পারে স্পিনাস্সোলাকে।
এই ম্যাচসহ টুর্নামেন্টের আগের চার ম্যাচে স্পিনাস্সোলার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। ডিফেন্সে ইতালির নির্ভরতা তিনি, দলের এগিয়ে চলায় ছিল বড় ভূমিকা। দল থেকে তার চোট নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এখনও। তবে হতাশাটা লুকালেন না কোচ রবের্তো মানচিনি।
“ তার এটা প্রাপ্য ছিল না। এই টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারদের একজন সে, পরের ম্যাচে খেলতে না পারলেও সেরাদের একজনই থাকবে। আমরা খুবই, খুবই হতাশ এবং যতদূর মনে হচ্ছে, চোট গুরুত্ব।”
বেলজিয়ামের বিপক্ষে অসাধারণ একটি গোল করাসহ দুর্দান্ত পারফর্ম করা লরেন্সো ইনসিনিয়ে ম্যাচের পর জানালেন, সামনে স্পিনাস্সোলার জন্যই খেলবেন তারা।
“আমাদের জন্য এটা বড় ক্ষতি। আজকে পর্যন্ত আমাদের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল সে, দলের পারফরম্যান্সে যার প্রভাব অনেক। তার জন্যই আমরা চেষ্টা করব শেষ পর্যন্ত যেতে।”