সেভিয়ার লা কার্তুহায় রোববার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে বেলজিয়াম। খেলার ধারার বিপরীতে বিরতির খানিক আগে দূরপাল্লার শটে গোলটি করেন তোরগান।
প্রায় ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ২৩টি শট নেয় পর্তুগাল, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, বেলজিয়ামের ছয় শটের একটিই ছিল লক্ষ্যে এবং তাতেই শেষ আটের টিকেট নিশ্চিত করে তারা।
ছোট্ট ভুলেই বাজতে পারে বিদায় ঘণ্টা, প্রতিপক্ষও শক্ত-ম্যাচের শুরু থেকে তাই দুই শিবিরেই ছিল বাড়তি সতর্কতা। তাতে ফুটবলে ছিল না গতি। প্রথমার্ধে বল দখলে সমতা থাকলেও আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে ছিল পর্তুগাল।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা বেলজিয়াম ৪২তম মিনিটে তাদের প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণেই এগিয়ে যায়। তমা মুনিয়ের পাস ডি-বক্সের বেশ বাইরে পেয়ে একটুখানি আড়াআড়ি এগিয়ে বুলেট গতির শট নেন তোরগান, বল শেষ মুহূর্তে সামান্য বাঁক খেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়।
পায়ে অস্বস্তি বোধ করায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠ ছেড়ে যান বেলজিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কেভিন ডে ব্রুইনে।
শুরুর মতো এই অর্ধেও চাপ ধরে রাখে পর্তুগাল। ৫৮তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় তারা; কিন্তু রোনালদোর পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে উড়িয়ে মারেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড জটা।
৭০-৮০ এই ১০ মিনিটে কয়েকটি ফাউলের ঘটনায় ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। পর্তুগালের এক ও বেলজিয়ামের দুজন হলুদ কার্ডও দেখেন। পরপর দুই মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায় পর্তুগাল। তবে রুবেন দিয়াসের হেড গোলরক্ষক ফেরানোর পর রাফায়েল গেররেরোর শট বাধা পায় পোস্টে।
জার্মানির মিউনিখে আগামী শুক্রবার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইতালির মুখোমুখি হবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়াম।
এটাই যে ইউরোর মঞ্চে রোনালদোর শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে, তা অন্তত বলে দেওয়া যায়। শেষটা ভীষণ হতাশার হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিচারে এই আসর স্মরণীয় হয়ে থাকবে ৩৬ বছর বয়সী তারকার ক্যারিয়ারে।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে তিনি গড়েন ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড, সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড। জালের দেখা পান পরের ম্যাচেও। আর শেষ রাউন্ডে জোড়া গোল করে স্পর্শ করেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলি দাইয়ের ১০৯ গোলের বিশ্ব রেকর্ড।