‘সফট পেনাল্টি নয়, পরিষ্কার পেনাল্টি চাই’

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তুলনামূলক অনেক বেশি পেনাল্টি। কিছু ম্যাচে তো একাধিক স্পট কিকই গড়ে দিয়েছে পার্থক্য। উয়েফার রেফারিং-এর প্রধান রবের্তো রসেত্তি অবশ্য এতে তেমন সমস্যা দেখছেন না। তবে ‘সাধারণ কোনো ট্যাকলে বা অনিচ্ছাকৃত কোনো ঘটনায়’ যেন পেনাল্টি, না হয় সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2021, 04:47 PM
Updated : 25 June 2021, 04:47 PM

চলতি আসরে গ্রুপ পর্বেই ১৪টি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, যেখানে গত আসরে মোট হয়েছিল ১২টি। প্রথমবারের মতো ভিএআর প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের জন্যই পেনাল্টির সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন রসেত্তি।

“এখন সিদ্ধান্তগুলো নিশ্চিতভাবেই আরও সঠিক হচ্ছে। ভিএআর ব্যবহারের আগে ডি-বক্সে অনেক অনেক ফাউল রেফারির চোখ এড়িয়ে যেত।”

“এখন তেমন কোনো ফাউল চোখ এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। যেমন, ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের পায়ে পাড়া দেওয়ার মতো ঘটনা এবং ভিএআরের সাহায্যে সহজেই এগুলোর মূল্যায়ন করা যায়।”

সাবেক সেরি আ ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেফারি রসেত্তির মতে, প্রতিপক্ষের পায়ে পাড়া দেওয়া পরিষ্কার ফাউল। এবারের আসরে এমন ঘটনায় অনেকবারই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, পেনাল্টি দেওয়ার পেছনের কারণটা শক্ত চান রেফারিরা।

“ফুটবলে পেনাল্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার, খেলাটির গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্ত। আমরা সফট পেনাল্টি পছন্দ করি না, পরিষ্কার পেনাল্টি চাই। আমরা ডিফেন্ডারের সুস্পষ্ঠ কোনো কাজ দেখতে চাই, ডিফেন্ডারের পরিষ্কার ফাউল।”

কী ধরণের ঘটনায় পেনাল্টি হওয়া উচিত নয়, এর উদাহরণ দিতে গিয়ে রসেত্তি উল্লেখ করেন ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ম্যাচে রাহিম স্টার্লিংয়ের পায়ে হালকা পাড়া দেওয়ার ঘটনা।

গত কয়েক বছর ধরে ভিএআরের ব্যবহার শুরু হলেও ক্লাব ফুটবলে এটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মাঝেমধ্যেই। তাছাড়া সমালোচকদের দাবি, এটির কারণে ম্যাচের মাঝে বিরতি পড়ে, যা খেলাটির সৌন্দর্য্য নষ্ট করে।

তবে উয়েফার দাবি, অন্যান্য প্রতিযোগিতা থেকে ইউরোয় এটির ব্যবহারে সময়ক্ষেপণ কম হয়। রসেত্তির কণ্ঠেও চলতি প্রতিযোগিতায় ভিএআরের সঠিক ব্যবহার নিয়ে প্রশংসা ঝরল। একই সঙ্গে অবশ্য তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন ভিএআরের ‘শীর্ষমানের ও বিশেষজ্ঞ পাইলটের’।

“আমরা এর(ভিএআর) কার্যকারিতা সম্পর্কে খুব ভালো মতো জানি, কিন্তু এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা জানি, এটা সহজ কোনো প্রযুক্তি নয়। কয়েকটি দেশে এর সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় কী হয়েছে, আমরা জানি।”

আসরে এখন পর্যন্ত ১২টি সিদ্ধান্ত সংশোধন করেছে ভিএআর, সাতটি সরাসরি হয়েছে এটির মাধ্যমে আর বাকি পাঁচটিতে রেফারির নেওয়া সিদ্ধান্ত পরে পাল্টেছে।

গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ মিলিয়ে মোট ১৭৯টি ঘটনা ভিএআরে যাচাই করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অন-ফিল্ড রেফারির সিদ্ধান্ত ৯১.৬ শতাংশ সঠিক ছিল বলেও জানিয়েছে উয়েফা।