কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাটি ইউরোপের ১১টি শহরে আয়োজিত হচ্ছে। নিজ নিজ দেশের সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নীতি অনুসরণ করে দেশগুলো ম্যাচ আয়োজন করছে।
সূচি অনুযায়ী, লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হওয়ার কথা। ইংল্যান্ডের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচের পর এখানেই আগামী শনিবার হবে ইতালি ও অষ্ট্রিয়ার শেষ ষোলোর লড়াইটি। শেষ ষোলোর আরেকটি ম্যাচ ছাড়াও দুটি সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল এই মাঠেই হওয়ার কথা।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সাড়ে ২২ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকলেও সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ৬০ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
বিষয়টি কিছুতেই মানতে পারছেন না অস্ট্রিয়া কোচ। নিজ দেশের দর্শকদের সমর্থন ব্যতিত ওয়েম্বলিতে খেলার কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। দাবি জানিয়েছেন ওয়েম্বলি থেকে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়ার, যাতে দর্শকরা নিজ নিজ দলকে মাঠে উপস্থিত থেকে সমর্থনের সুযোগ পান।
“পরিস্থিতি বিবেচনায় বলতে গেলে মাঠে কোনো অস্ট্রিয়ান বা ইতালিয়ান দর্শক থাকবে না। আমার মতে, তাই লন্ডনে খেলার কোনো মানেই হয় না।”
“আশা করি, অন্তত দর্শকদের কথা বিবেচনা করে একটি সমাধান বের করা হবে। একটি বিকল্প হতে পারে, ভেন্যু পরিবর্তন করা। আমি চাই, যত বেশি সম্ভব দর্শক যেন মাঠে আসতে পারে। এটা আমার আন্তরিক চাওয়া।”
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি সোমবার লন্ডন থেকে ফাইনাল সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে উয়েফা জানিয়েছে, তাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।