এই সময়ে কোপা আমেরিকা আয়োজন পছন্দ হয়নি মার্তিন্সের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে কনমেবলের সমালোচনা করে তিনি লিখেন, আয়োজকদের কাছে ফুটবলারদের জীবনের চেয়ে অর্থ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরে অবশ্য তা মুছেও ফেলেন এই ফরোয়ার্ড।
“এমনটা করার জন্য ধন্যবাদ কনমেবল। দায় পুরাটাই তোমাদের। যদি কেউ মারা যায়, কি করবে তোমরা??? তোমাদের কাছে যে জিনিস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো অর্থ। একজন খেলোয়াড়ের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই?”
কনমেবলের সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স প্রতিবেদনে জানায়, এরপরই সংস্থাটির শৃঙ্খলা কমিটি মার্তিন্সকে এই মন্তব্যের কারণ দর্শাতে বলেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ এই ফুটবল প্রতিযোগিতার এবারের আসরে এখনও মাঠে নামতে পারেননি মার্তিন্স। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বলিভিয়ার ৩-১ গোলে হারা ম্যাচে খেলা হয়নি তার। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, কোভিড-১৯ পজিটিভ তিনি।
শুধু তিনি একা নন, বলিভিয়ার আরও চার জন খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, যাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
কোপা আমেরিকার এবারের আসরটি হওয়ার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনায়। সরকারবিরোধী আন্দোলন চলায় কলম্বিয়াকে বাদ দেয় কনমেবল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নাজুক থাকায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি বাদ দেয় আর্জেন্টিনাকেও। এরপরই ব্রাজিলে আয়োজনের কথা জানায় কনমেবল।
কিন্তু দেশটিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও খারাপ। টুর্নামেন্ট শুরু হতে না হতে, এরই মধ্যে ৩৩ জন খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালস কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।