আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে ওয়েলস। অ্যারন র্যামজির গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান কনর রবার্টস।
চার দশক পর তুরস্ককে হারাল ওয়েলস। এর আগে সবশেষ ১৯৮১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। মাঝে দুইবারের দেখায় একটিতে হেরেছিল, ড্র করেছিল অন্যটি।
আসরে প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ওয়েলস। তুরস্ক হারল দুই ম্যাচেই; আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইতালির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ওয়েলস। বেলের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে শট নেন র্যামজি। তবে পা বাড়িয়ে ঠেকান গোলরক্ষক উরজান চাকির।
নবম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তুরস্ক। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি স্ট্রাইকার বুরাক ইলমাজ।
২৪তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পান র্যামজি। বেলের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ইউভেন্তুসের এই মিডফিল্ডার।
বিরতির আগে চমৎকার গোলে ওয়েলসকে এগিয়ে নেন র্যামজি। এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান বেলেরও। তার লম্বা করে বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন র্যামজি।
জাতীয় দলের হয়ে ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলারের গোল হলো ১৭টি, ২০১৯ সালের পর প্রথম পেলেন জালের দেখা।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ একটি সুযোগ পান ইলমাজ। কিন্তু কাছ থেকে ভলিতে বল উড়িয়ে মারেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
এতে ওয়েলসের সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল খরা দীর্ঘ হলো আরও। জাতীয় দলের হয়ে এই নিয়ে টানা ১৩ ম্যাচে জালের দেখা পেলেন না তিনি।
৭৯তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান বেল। র্যামজির ক্রসে তার হেড ফেরান গোলরক্ষক। ৮৮তম মিনিটে মেরিথ দেমিরালের হেড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে ওয়েলসের ত্রাতা গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন রবার্টস। কাছ থেকে বেলের পাসে গোলটি করেন এই ডিফেন্ডার।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী রোববার ইতালির মুখোমুখি হবে ওয়েলস। একই দিনে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে তুরস্ক।