বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ ঘোষ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, সাদ উদ্দিন, টুটুল হোসেন বাদশা, আশরাফুল ইসলাম রানার সঙ্গে বসেন সালাউদ্দিন। পরে জানান তিনটি গ্রেডে জাতীয় দলের ৩০ জন খেলোয়াড়কে চুক্তির আওতায় নিয়ে আসার ভাবনা।
“ন্যাশনাল টিমে খেলা নিয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে অনেক কনফ্লিক্ট হয়। তখন আমি চিন্তা করলাম, বাফুফে মেম্বারদের সঙ্গে কথা বললাম, পারিশ্রমিক পদ্ধতি দাঁড় করাতে হবে। ওরা ক্লাব থেকে যেটা পায়, পাক, কিন্তু জাতীয় দলে খেলার জন্য ওদের যদি একটা পারিশ্রমিক দেই, তাহলে ওরা অনুপ্রাণিত হবে।”
“৩০ জন খেলোয়াড়ের একটা গ্রুপ হবে। সেখানে ১৫ জনের একটা গ্রেড, ১০ জনের একটা গ্রেড এবং ৫ জনের আরেকটা গ্রেড থাকবে। তাহলে তারা জাতীয় দলে খেলতে অনুপ্রাণিত হবে। অনেক সময় কারো ১০ শতাংশ ইনজুরি আছে কিন্তু শতভাগ ইনজুরির কথা বলে চলে যায়, এটা করলে সেটা হবে না।”
বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা সেরে এসে গোলরক্ষক রানাও জানালেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে লাভবান হবে খেলোয়াড়, জাতীয় দল সব পক্ষই।
“পরের মৌসুমের জাতীয় দল নিয়ে উনার কিছু পরিকল্পনা আছে, সেগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি, তা হচ্ছে জাতীয় দলের ৩০ জন খেলোয়াড়ের একটি পুল করবেন, তাদের পারিশ্রমিকের আওতায় নিয়ে আসবেন। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় খবর।”
“এরকম স্যালারি যদি হয়, খেলোয়াড়রা অবশ্যই আর্থিকভাবে লাভবান হবে। যারা ক্লাব লেভেলে আছে, তারা যখন জাতীয় দলে আসবে, তখন সম্মানির কারণে বাড়তি অনুপ্রেরণা পাবে। ক্লাব থেকে তো আমরা একটা পারিশ্রমিক পাই। আপনারা জানেন, জাতীয় দল থেকে সেরকম পারিশ্রমিক পাই না। আমরা যেন জাতীয় দল থেকে ভালো একটা অঙ্ক পাই, সে বিষয়টি সভাপতি বলেছেন।”
গ্রেড, চুক্তির বিষয়গুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানালেন রানা। জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক কিছুটা ধারণা দিলেন।
“এখনও ফাইনাল চুক্তির বিষয়ে বলেননি। তিনি বলেছেন, যারা ‘এ’ গ্রেডে থাকবে, তাদের পারফরম্যান্স যদি খারাপ হতে থাকে, তাহলে ‘বি’ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হবে। ‘বি’ গ্রেডে খারাপ হলে ‘সি’ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হবে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে সে চুক্তির বাইরে চলে যাবে।”