ইউভেন্তুসে রোনালদোর চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। তবে গুঞ্জন আছে, এই গ্রীষ্মে ক্লাব ছাড়তে পারেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
আন্দ্রেয়া পিরলোর দলের জন্য মৌসুমটা তেমন ভালো কাটেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে তাদের বিদায় করে দেয় পোর্তো। সেরি আয় ইউভেন্তুসের টানা নয় বছরের আধিপত্য ভেঙে শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। আগামী মৌসুমে দলটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। লিগের শেষ রাউন্ডে বোলোনিয়াকে হারিয়ে এবং নাপোলির হোঁচটে চার নম্বরে থেকে ইউরোপ সেরার মঞ্চে জায়গা করে নেয় তারা।
হতাশায় ঘেরা মৌসুমে ইউভেন্তুসের প্রাপ্তি ইতালিয়ান সুপার কাপ ও ইতালিয়ান কাপ জয়। ২৯ গোল করে প্রথমবার সেরি আর সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রোনালদো। এতে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালির শীর্ষ লিগে আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার কীর্তিও গড়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রোনালদো বললেন, এই প্রাপ্তিগুলো তাকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে।
“যেকোনো শীর্ষ খেলোয়াড়ের জীবন ও ক্যারিয়ারেই উত্থান-পতন থাকে। বছরের পর বছর অসাধারণ খেলোয়াড়ে গড়া দারুণ সব দলের বিপক্ষে খেলি আমরা। তাই নিজেকে সবসময় সেরা পর্যায়ে রাখতে আমাদের সেরাটা দিতে হয়।”
নতুন চ্যালেঞ্জের আশায় রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৮ সালের জুলাইতে ইউভেন্তুসে যোগ দেন রোনালদো। ইতালিতে গিয়েই ঠিক করেন নিজের লক্ষ্য।
“এসব প্রাপ্তিতে আমি এমন একটি লক্ষ্যে পৌঁছেছি, যেটা আমি ইতালি পৌঁছানোর প্রথম দিন থেকে স্থির করেছিলাম: চ্যাম্পিয়নশিপ, কাপ, সুপার কাপ জয় এবং এই অসাধারণ ফুটবল দেশের সেরা খেলোয়াড় ও সেরা গোলদাতা হওয়াও, যেখানে অসাধারণ খেলোয়াড়, বড় ক্লাব এবং নিজস্ব ফুটবল সংস্কৃতি রয়েছে।”
খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অর্জনগুলো দলকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে বলে মনে করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই খেলোয়াড়।
“ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে লিগ চ্যাম্পিয়ন; ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে কাপ জয; ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে সুপার কাপ জয়; ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে সেরা খেলোয়াড়; ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা; ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালির প্রতিটির কোনো ক্লাবের হয়ে ১০০ এর বেশি গোল... এমন সাফল্য পেয়ে আমি গর্বিত।”
যেখানেই খেলেছেন সেই দেশেই নিজের ছাপ রাখা, ভক্তদের আনন্দ দেওয়ার যে অনুভূতি, এর সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা খুঁজে পান না রোনালদো। দারুণ এই পথচলায় পাশে থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
“যে দেশগুলোতে খেলেছি সেখানেই আমি আমার ছাপ রেখেছি, যে ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেছি তাদের ভক্তদের আমি আনন্দ দিয়েছি, এই অনুভূতির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। এর জন্যই আমি খেলি, এটাই আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। শেষ দিন পর্যন্ত আমি এটাই করে যাব।”