২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ক্যাম্প করতে সোমবার সকাল ১১টায় সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। যাত্রা বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বাফুফে জানিয়েছিল সৌদি আরবের কাছ থেকে ‘কোয়ারেন্টিন শিথিল সংক্রান্ত ডকুমেন্ট’ না পাওয়ার কথা।
পরবর্তীতে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সন্ধ্যা ৭টায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানায়। কিন্তু রাত ৯টার পর বাফুফে বিবৃতি দিয়ে জানায় ‘কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা।’
“করোনা সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক চলাচলের ক্ষেত্রে ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টিন প্রোটোকল, হেলথ ইনস্যুরেন্স ও পিসিআর টেস্টসহ অনেক কিছু বিবেচনা করে সামগ্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমে বাফুফেকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছুটা সময় লাগছে। এই বিষয়ে নেওয়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিগগির জানানো হবে।”
এ ব্যাপারে জানতে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, টিম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন কেউ ফোন ধরেননি।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সৌদি আরব যেতে না পেরে হতাশার কথা জানান আনিসুর রহমান জিকো। কদিন আগে এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের খেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফেরার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষকের।
“সকালেই খবরটা পেয়েছি। একটু তো মন খারাপ হবেই। যেহেতু খেলোয়াড়েরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা খুব প্রয়োজন। সামনে বড় ম্যাচ আছে। সৌদি আরবে যেতে পারলে ভালো হতো।”
কোচ জেমি ডেও হতাশ। তিনি এখন সৌদি আরব না গিয়ে সরাসরি কাতারে যাওয়ার পক্ষে।
“দুই-তিন দিনের জন্য সৌদি আরবে গেলে প্রত্যাশানুযায়ী উপকার হবে না। এর চেয়ে আগে কাতার যাওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে বাফুফের সঙ্গে আলোচনা করব।”
কাতারে আগামী ৩ জুন আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত এবং ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে খেলার কথা বাংলাদেশের।