আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ ১-১ ড্র হয়েছে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোলে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন করিম বেনজেমা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা দুটি ড্র করল রিয়াল, শেষ চার ম্যাচে তিনটি। লা লিগায় শেষ তিন রাউন্ডের দুটিতে পয়েন্ট হারিয়ে সেখানেও শিরোপা লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে দলটি।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে বিঘ্ন হলো ফুটবলের স্বাভাবিক ছন্দ। তবে এর মাঝেও আলো ছড়াল চেলসি। প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণাত্মক খেলে গোলের উদ্দেশে মোট ১১টি শট নেয় তারা, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে রিয়ালের ৯ শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে। এই পরিসংখ্যানে ফুটে ওঠে পুরো ম্যাচের চিত্রও।
প্রতিপক্ষের সাদামাটা ফুটবলের বিপরীতে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে শুরুটা দারুণ করে চেলসি। প্রথম ১৫ মিনিটে একচেটিয়া আক্রমণের মাঝেই গোল আদায় করে নেয় পোর্তোকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা দলটি।
প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি তারা পায় দশম মিনিটে। তবে পুলিসিকের হেডে ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি টিমো ভেরনার। তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
গোল খেয়ে যেন হুঁশ ফেরে শেষ আটে লিভারপুলকে হারানো রিয়ালের। ধার বাড়ে তাদের আক্রমণে। ২৩তম মিনিটে বেনজেমার দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াচ্ছিল চেলসিও।
আসরে বেনজেমার এটি ষষ্ঠ গোল। প্রতিযোগিতাটির গোলদাতাদের তালিকায় মোট ৭১ গোল নিয়ে সাবেক রিয়াল তারকা রাউল গনসালেসের পাশে বসলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মার্সেলোর ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও ভেরনার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এরপরেও মাঝে মধ্যেই তাদের ভুল পাসে নিয়ন্ত্রণ হারানো ছিল দৃষ্টিকটু।
৬৬তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রকে তুলে আজারকে নামান কোচ। সাবেক দলের বিপক্ষে তেমন কিছুই করতে পারেননি চোট কাটিয়ে কদিন আগে ফেরা বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।
শেষ ১৫ মিনিটে বৃষ্টির তেজ বাড়ে, কমে ফুটবলের গতি। প্রতিপক্ষের সীমানায় ভীতি ছড়াতেও পারেনি কেউ।
অপেক্ষা এবার ফিরতি লড়াইয়ের। আগামী বুধবার ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জের দ্বিতীয় ধাপে ফের মুখোমুখি হবে দল দুটি।