গত রোববার সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় ইউরোপীয় ফুটবলে যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল, তিন দিনের মধ্যেই তা স্তিমিত হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠাতা ১২ ক্লাবের মধ্যে এরই মধ্যে সরে গেছে ইংল্যান্ডের ছয়টিসহ মোট আট ক্লাব। বাকি আছে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ইউভেন্তুস ও এসি মিলান।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গতবারের শিরোপাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ সহ জার্মানির কোনো ক্লাবই এতে আগ্রহ দেখায়নি। নেই ফ্রান্সের কোনো ক্লাবও।
আগে থেকেই এর বিরোধিতা করে আসা তেবাস মনে করেন, এটা আর আলোর মুখ দেখবে না। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন তিনি।
“ইংলিশ ও জার্মান দলগুলো ছাড়া সুপার লিগ মৃত। বাস্তবতা মেনে নেওয়া উচিত, এটা মৃত।”
“যেটা তারা করতে চেয়েছিল তারা তা পারেনি। ২০ বছর ধরে সুপার লিগের হুমকি দেওয়ার পর অবশেষে সেটা সত্যিও হয়েছিল, তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা অদৃশ্যও হয়ে গেছে।”
শুরুতেই মারাত্মক হোঁচট খেলেও এখনও অবশ্য আশা ছাড়ছেন না লিগটির প্রথম চেয়ারম্যান রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেস। এই টুর্নামেন্টের খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন বার্সেলোনা সভাপতি লাপোর্তাও।
পেরেসের দাবি, করোনাভাইরাসের প্রভাবে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে শীর্ষ ক্লাবগুলোর। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজন সুপার লিগ।
সেটি ছাড়াও সমস্যার সমাধান আছে তেবাসের কাছে। তার মতে, খরচ কমাতে হবে। বিশেষ করে বেতন ও ট্রান্সফার ফি কমিয়ে আনতে হবে।
“এটা আয়ের সমস্যা না, এই ক্লাবগুলোর দরকার ব্যয় কমানো। খেলোয়াড়রা যেন ছয়টির জায়গায় সাতটি ফেরারি কিনতে পারে, এজন্য আয় বাড়ানোর কোনো দরকার নেই।”
“এটা আয় বন্টনজনিত সমস্যা। আমার ভাবনা খুব পরিষ্কার, আমাদের আয় বাড়ানোর দরকার নেই, শুধু ব্যয়টা সামলাতে হবে। আর্থিকভাবে আমরা ধ্বংস হয়ে যাইনি এবং আমাদের বিশেষ কোনো পদক্ষেপও নিতে হবে না।”