নতুনদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সমস্যা হবে না, বিশ্বাস জনির

নিজে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন দীর্ঘদিন পর। ক্যাম্পের অনুশীলনে পাচ্ছেন না পুরনো অনেক সতীর্থকে। বরং সেখানে নতুনের ছড়াছড়ি। তবে মাশুক মিয়া জনির বিশ্বাস, দলে যত পরিবর্তনই আসুক, তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার কমতি হবে না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2021, 01:11 PM
Updated : 15 March 2021, 01:26 PM

নেপালের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট সামনে রেখে সোমবার থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। ভারতে থাকায় জামাল ভূইয়া ছাড়া ৩০ জন সেরেছেন দুই বেলা অনুশীলন।

পাঁচ নতুন মুখের মধ্যে রিমন হোসেন বসুন্ধরা কিংসে জনির সতীর্থ। মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ ক্রীড়া চক্রের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ ইমন, মেহেদী হাসান ও ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান রয়েল এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিফেন্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগকে লিগে পেয়েছেন প্রতিপক্ষ হিসেবে।

২০১৯ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন জনি। লম্বা বিরতি দিয়ে এবার ফিরলেন জাতীয় দলে। নতুন ও পুরান সতীর্থদের সঙ্গে প্রথম দিনের অনুশীলনে ভালোই লেগেছে তার।

“প্রায় ১৯ মাস পর দলে ফিরলাম। অনুশীলন করলাম। বেশ ভালো লাগছে। সবাই তো পরিচিত খেলোয়াড়। কেউ জাতীয় দলে ছিল, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া আগে থেকেই আছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।”

“নতুন যারা ডাক পেয়েছে, তারা লিগে ভালো করেই জায়গা পেয়েছে। এবং ওদের সঙ্গে আমরা লিগে খেলেছি। এখন জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলব। নতুন যে পাঁচজন এসেছে, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিকঠাকই হবে। খুব একটা পার্থক্য হবে না, যেহেতু আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করছি।”

নেপালের প্রতিযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে কোচ জেমির ডের সুরে সুর মেলালেন জনি। তিনিও এ আসরকে দেখছেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে।

“নেপাল ও আমাদের আবহাওয়া প্রায় একই থাকে। ওখানে আমরা এক সপ্তাহ আগে যাব, ফলে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।  সমস্যা হবে না। আমাদের লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা। এটা প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ হয়ে যাবে, কেননা, সামনে আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে।