লা লিগায় কাম্প নউয়ে রোববার পয়েন্ট তালিকার চতুর্দশ নম্বরে থাকা কাদিসের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে বার্সেলোনা। গত ডিসেম্বরে দুই দলের প্রথম দেখায় ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল কাতালান দলটি।
আগের দিন লেভান্তের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারা আতলেতিকোর পয়েন্ট ২৩ ম্যাচে ৫৫। সমান ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
জিতলে আতলেতিকোর সঙ্গে বার্সেলোনার ব্যবধান নেমে আসত ৬ পয়েন্টে। সেই লক্ষ্যে স্বাগতিকদের শুরুটাও মন্দ ছিল না। প্রথমার্ধে লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানোর অনেক সুযোগ পেয়েছিল তারা কিন্তু আর জালের দেখা মেলেনি। উল্টো নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে নিজেদের ভুলে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে জয়বঞ্চিত হয় কুমানের দল।
লিগ শিরোপার দৌড়ে থাকার বিষয়টি তো আছেই, আগের ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে ৪-১ গোলে উড়ে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোটা জরুরি ছিল বার্সেলোনার জন্য। তা না হওয়ায় ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেন কুমান।
“এটা হতাশার। আমাদের জয়ের প্রয়োজন ছিল। আতলেতিকোর হারের পর লিগ শিরোপার দৌড়ে যোগ দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছি আমরা।”
“যদি আপনি ম্যাচটি শেষ করে দিতে না পারেন, তাহলে সবসময়ই শেষ দিকে গোল খাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমরা দ্বিতীয় গোলটি করতে পারিনি এবং এর খেসারত দিয়েছি।”
“খুবই রক্ষণাত্মক খেলা একটা দলের বিপক্ষে সুযোগ তৈরি করা আমাদের জন্য ছিল কঠিন এবং প্রতিপক্ষের গোলমুখে আমাদের সতেজতার ঘাটতি ছিল। অফসাইডের কারণেও কয়েকটি গোল বাতিল হয়েছে।”
পিএসজির বিপক্ষে হারের চেয়ে এই ড্রয়ে বেশি হতাশ কুমান।
“এটা খুবই হতাশার, এমনকি গত মঙ্গলবারের (পিএসজির বিপক্ষে) হারের চেয়েও বেশি। কেননা, আমাদের উপরে যারা আছে, তাদের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে পারতাম।”
“এটা এমন কোনো ম্যাচ নয়, যেখানে আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। নিজেদের মানের কারণেই ম্যাচটি আমাদের জিততে হত কিন্তু আমরা পারিনি।”
তবে লিগ শিরোপা লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলেও বিশ্বাস এই ডাচ কোচের।
“লিগটিকে আমি আরও জটিল হিসেবে দেখছি না। কোনো দলই অপরাজেয় নয়। কেউই সব ম্যাচ জিতবে না। আমাদের এখনও সুযোগ আছে, যদিও এটাও সত্যি যে সুযোগটা খুবই কম।”