২-১ গোলের এই জয়ে আরও মজবুত হলো বসুন্ধরা কিংসের শীর্ষস্থান। ১০ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট অস্কার ব্রুসনের দলের।
তৌহিদুল আলম সবুজের হেডে সমতায় ফেরার পর বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেয় রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর দুর্দান্ত শট। এটিই শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকে দুই দলের ব্যবধান।
পয়েন্ট টেবিলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের চিত্র এই ম্যাচের মতোই বির্বণ। এটি তাদের টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে চতুর্থ হার। ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ষষ্ঠ স্থানে।
দুই দলের সবশেষ দেখায় ফেডারেশন কাপের ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল বসুন্ধরা কিংস।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ম্যাচের একাদশ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রবিনিয়োর কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। নষ্ট হয় বসুন্ধরা কিংসের এগিয়ে যাওয়ার প্রথম ভালো সুযোগটি।
অষ্টাদশ মিনিটে দারুণ বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের লং পাস হেডে একটু এগিয়ে নিয়ে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন জন ওকোলি। গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানকে ছিটকে দিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
২৯তম মিনিটে মিডফিল্ডার আলমগীর কবির রানাকে তুলে নিয়ে ফরোয়ার্ড মতিন মিয়াকে নামান বসুন্ধরা কিংস কোচ। পাঁচ মিনিট পর সবুজের গোলে সমতায় ফিরে দলটি।
খালিদ শাফিইয়ের থ্রো ইন এক ডিফেন্ডার হেডে ফেরানোর পর রবিনিয়োর শট আটকান গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম, কিন্তু বল গ্রিপে নিতে পারেননি। সামনে থাকা সবুজ ফিরতি হেডে জাল খুঁজে নেন।
দুই মিনিট পর রবিনিয়োর দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় লিগের শিরোপাধারীরা। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বুলেট গতির শট বাঁক খেয়ে জালে জড়ায়। লাফিয়ে উঠেও নাগাল পাননি গোলরক্ষক সাইফুল।
৫৩তম মিনিটে বসুন্ধরার চিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরার হেড ওপরের জাল কাঁপায়। একটু পর সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইকেচুকু কেনেথের শট আটকান গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
৬৯তম মিনিটে ডি-বক্সে লাফিয়ে উঠে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাওয়া শাফিইয়ের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন তোলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের খেলোয়াড়রা। তাতে মেলেনি রেফারির সাড়া।
৮২তম মিনিটে ওকোলিকে বিশ্বনাথ ঘোষ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাইফ স্পোর্টিং। কেনেথের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে জয়ের পথে রাখেন জিকো।