ঘটনাটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গত শনিবার গোলশূন্য ড্র ম্যাচটির ৮৭তম মিনিটের। বদলি নামা জাহিদ হোসেনের ক্রস তপুর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শেখ জামালের ওমর জোবে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন। কিন্তু তপু পড়ে যাওয়ায় রেফারি বাজান ফাউলের বাঁশি। ভিডিও রিপ্লেতেও দেখা যায়, জোবের সঙ্গে তেমন কোনো স্পর্শ ছাড়াই পড়ে যান বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার।
বাফুফে ভবনে সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের সালাউদ্দিন জানান বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের উদ্যোগের কথা। রেফারিংয়ে ভুল বোঝাতে তিনি টানেন দিয়েগো মারাদোনার সেই ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের প্রসঙ্গও।
“রেফারির এই সমস্যা সারা পৃথিবীতে আছে এবং এটার জন্যই ফিফা ভিএআর ব্যবহার করে। মারাদোনার হ্যান্ড অব গোল…এমন অনেক ঘটনা আছে। রেফারিও মানুষ। এজন্য ভিএআর নিয়ে ফিফার টেকনিক্যাল অফিসারের সঙ্গে আমাদের সাধারণ সম্পাদককে কথা বলতে বলেছি।”
“ফেডারেশনে আমি টেকনিক্যাল সাত-আট জনকে নিয়ে বসেছিলাম। তারাও বিভক্ত। চার-পাঁচজন বলেছে গোল দিতে। দুই-তিন জন বলেছে এটা ফাউল। আমি এখানে সিদ্ধান্ত দিব না। আমি যেটা করেছি, আমরা এটা ফিফাকে দিয়েছি ওদের মতামত জানতে। তাহলে আমরা বুঝতে পারব, কি হয়েছে। ওখানে তো এক্সপার্টররা আছে।”
রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথমে মাঠে শেখ জামাল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক ক্ষোভ ঝাড়েন। পরে প্রেসবক্সে এসে অভিযোগ করেন ‘উদ্দেশ্যমূলক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে’ বলে। পরের দিন ক্লাবটির সভাপতি মনজুর কাদেরও অভিযোগ করেন রেফারিং নিয়ে। ক্লাব কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কথা বলা দুঃখজনক বলে জানালেন সালাউদ্দিন।
“এ বছরে লিগ খুবই জটিল। রেফারির বিপক্ষে এই অভিযোগটা ক্লাবগুলো অনেক আগে থেকেই করে আসছে। যখনই সিদ্ধান্তগুলো ক্লাবগুলোর ফেভারে না যাচ্ছে, তারা অভিযোগ করছে। টিস্পোর্টসে খেলা দেখানোর পরে স্লো মোশনে দেখায় এটা আসলে হয়েছে কিনা, কিন্তু তারা বিবৃতি আগেই দিয়ে দেয়। কিছু কিছু জিনিস আমিও দেখলাম; অনেক বিবৃতি আসছে এবং দুঃখের বিষয়-বিবৃতিগুলো দিচ্ছে যারা ক্লাব চালায়।”