বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার দ্বিতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে ৭-৬ ব্যবধানে জিতে সাইফ। দুই দলের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ২-২ সমতায়।
গত আসরের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া সাইফ এবার গ্রুপ পর্বের সেরা হয়ে উঠেছিল শেষ আটে। নাটকীয় জয়ে উঠেছে সেরা চারে। সন্তুষ্টি থাকলেও এ মৌসুমে সাইফের হাল ধরা কোচ সমালোচনা করলেন দলের প্রথমার্ধের খেলার।
“মোহামেডান খুব টাফ ফুটবল খেলেছে। ছেলেদের প্রথমার্ধের খেলায় অসন্তুষ্ট ছিলাম। ওদের গোলরক্ষক চারটা দারুণ সেভ করেছে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হয়। ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় আমরা প্রথম থেকে ভুগছি। প্রথমার্ধে পজিশনিং ভালো ছিল না। তবে সেমি-ফাইনালে উঠেছি, আমি খুশি। ১০ দিনে ছেলেরা চারটা ম্যাচ খেলেছে এবং জিতেছে, এজন্য ছেলেদের কৃতিত্ব দিতে হবে।”
বলের নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণ এবং সুযোগ তৈরির হিসাবে সাইফের চেয়ে পিছিয়ে ছিল মোহামেডান। তবে দলটির কোচ লেন শিষ্যদের প্রচেষ্টায় খুশি।
“দলের প্রচেষ্টায় আমি খুশি। ভালো খেলছে। আমরা শুরুর দুটি গোল খেয়েছি রক্ষণের ভুলে। এমন ভুল করলে তো হারতেই হবে। তবে নির্ধারিত সময়, অতিরিক্ত সময়, এমনকি টাইব্রেকারের সময়ও আমি আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু টাইব্রেকারে হারলে কিছু করার নেই।”
আগামী বুধবার প্রথম সেমি-ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা চট্টগ্রাম আবাহনীর।